নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়া ‘আইএস বধূ’ শামীমার আপিল খারিজ
‘আইএস বধূ’ হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগম (২৪) তার নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিলে হেরে গেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রিটেনের আপিল আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেন। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দেশত্যাগ করেন তিনি। সিএনএন ও গার্ডিয়ান।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম ২০১৫ সালে সিরিয়ায় পাড়ি জমান। ওই সময় তিনি তার স্কুলের আরও দুই বান্ধবীর সঙ্গে পালিয়েছিলেন। এরপর সিরিয়ায় গিয়ে আইএসের এক যোদ্ধাকে বিয়ে করেন তিনি। দেশটির রাক্কাতে থাকতেন শামীমা।
২০১৯ সালে শামীমা বেগমকে সিরিয়ার আল-হল শরণার্থী ক্যাম্পে খুঁজে পাওয়া যায়। ওই সময় নিজের পুত্র সন্তানের জন্মের জন্য যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে দেশটির সরকারের প্রতি আবেদন করেছিলেন শামীমা। তখন ‘আইএস বধূ’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন তিনি। পরবর্তীতে নিজের বেশ বদলে ফেলেন শামীমা। তিনি ইসলামিক পোশাকের বদলে পশ্চিমা পোশাক পরা শুরু করেন। তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। এর পরের মাসে শামীমা জানান, তার সদ্যভূমিষ্ঠ ছেলে মারা গেছে। তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোকে আরও জানান, এই ছেলের আগে তার আরও দুটি সন্তান হয়েছিল এবং তারাও মারা গেছে।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
যুক্তরাজ্যের আপিল আদালতে এরপর নাগরিকত্ব বাতিলের বিরুদ্ধে আবেদন করেন শামীমা। শুক্রবার আপিল আদালত রায়ে জানান, সরকার ওই সময় শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করে অবৈধ কোনো কিছু করেনি।
তবে তার আইনজীবীরা দাবি করেছেন, তিনি শিশু পাচারের শিকার হয়েছিলেন এবং তার নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়ে আইনবিরোধী কাজ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম