তানজিদের সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে প্লে-অফে চট্টগ্রাম
তানজিদ হাসান তামিমে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর বোলারদের দাপটে খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে উড়িয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লে-অফে জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল চট্টগ্রাম।
গ্রুপপর্বে ১২ ম্যাচের ৭টি জিতে ১৪ পয়েন্ট হলো চট্টগ্রামের। অন্যদিকে ১১ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্ট খুলনার। তাদের বিদায় কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেছে। নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতলেও ফরচুন বরিশালের হার কামনা করতে হবে। তার মধ্যে আবার রানরেটে অনেকটাই পিছিয়ে খুলনা।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের ৩৯তম ম্যাচে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় খেলাটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা চট্টগ্রাম তামিমের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলে। সবধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে এটি তানজিদের প্রথম সেঞ্চুরি। আর সবমিলিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে বাংলাদেশিদের মাঝে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর এটি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।
১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিলাল খান ও শুভাগত হোমদের বোলিং তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় খুলনা। অধিনায়ক আনামুল হক (২৪ বলে ৩৫) ও শেই হোপ (২১ বলে ৩১) ছাড়া আর কেউই বলার মতো স্কোর করতে পারেনি। শেষ দিকে হোল্ডার ১৮ রান করেন।
চট্টগ্রাম বোলারদের মধ্যে দলনেতা শুভাগত সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। বিলাল পান দুটি উইকেট।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় মাত্র ৪ রানে নাসুম আহমেদের বলে ব্যক্তি ১ রানে আউট হন আফগানিস্তানের অভিষিক্ত ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম। তবে এরপর শৈকত আলী ও টম ব্রুসদের সঙ্গে দুটি জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ বাড়ান তানজিদ। মাত্র ৫৮ বলে পেয়ে যান কাঙ্খিত সেঞ্চুরিও।
১৯তম ওভারে ওয়েন পারনেলের বলে আউট হওয়ার আগে এই বাঁহাতি ৬৫ বলে ১১৬ রান করেন। তার ইনিংস ছিল ৮টি চার ও সমান ছক্কা। টম ব্রুস ২৩ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শৈকত আলী করেন ১৮ রান।
খুলনা বোলারদের হয়ে একটি করে উইকেট পান পারনেল, নাসুম, জেসন হোল্ডার ও মুকিদুল ইসলাম।