রুমা-থানচি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ

এন এ জাকির, বান্দরবান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
রুমা-থানচি সড়কে গণপরিবহন বন্ধ

পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের হুমকিতে বান্দরবান থেকে রুমা ও থানচি সড়কে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তার কারণে রবিবার সকাল থেকে দুই উপজেলায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকরা।

গুম-খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে আলোচিত পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ এবং পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অস্ত্রবিরতিসহ চারটি বিষয়ে আলোচনা হয় শান্তি কমিটির সঙ্গে। অস্ত্র ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও গুম-খুনসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তারা। গত মঙ্গলবার কেএনএফের গুলিতে আহত হন রুমা উপজেলার মারমা সম্প্রদায়ের এক বাসিন্দা। তার প্রতিবাদে রুমা বাজারে বিক্ষোভ করে মারমা সম্প্রদায়। বিক্ষোভকালে রুমা বাজার এলাকার বেশ কয়েকটি বম সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে তিন উপজেলায় যান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতি দেয় কেএনএফ। রবিবার সকালে যান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য এক পরিবহন শ্রমিককে তুলে নিয়ে মারধর করেন কেএনএফ সদস্যরা। এর পর থেকে রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীসহ পর্যটকরা।

মাইক্রোবাস, জিপ ও পিকআপ মালিক সমবায় সমিতির লাইনম্যান কামাল হোসেন জানান, রুমা ও থানচিতে পর্যটকবাহী কোনো চাঁদের গাড়ি যাচ্ছে না। পাহাড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় শ্রমিকদের নিরাপত্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিবহন মালিক সমিতির নেতা নুরুল আলম জানান, কেএনএফ সদস্যরা একজন শ্রমিককে মারধর করেছেন। তাই নিরাপত্তার কারণে শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন। প্রশাসনকে জানিয়েছি, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে। ডিসি শাহ মোজাহিদ উদ্দীন বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, এর আগে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চাঁদা দাবি করায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বান্দরবান-থানচি সড়কে ৮ দিন গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।