জয়সোয়ালের দ্বিশতকের দিনে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় পেল ভারত
রাজকোটে দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সোয়ালের অনবদ্য ডাবল সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছিল ৫৫৭ রান। সেটি একরকম অসম্ভব হলেও কেউ ভাবতে পারেননি আজ রবিবারই ভারতকে জয় উপহার দেবে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট পড়ার পর শেষ সেশনে ইংলিশরা হারায় ৮ উইকেট, অলআউট মাত্র ১২২ রানে। তাতে ৪৩৪ রানের জয়ে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
রানের ব্যবধান হিসেবে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ভারতের এটি সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। আর সব দেশ মিলিয়ে অষ্টম। টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় ইংল্যান্ডের। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানের জয় পেয়েছিল ইংলিশরা। এর আগে ভারতের সর্বোচ্চ ৩৭২ রান ব্যবধানের জয় ছিল। ২০২১ সালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৭২ রানের জয় পেয়েছিল ভারত।
রাজকোটে প্রথম ইনিংসে ৪৪৫ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাব দিতে নেমে বেন ডাকেটের ১৫৩ রানের ম্যারাথন ইনিংস সত্ত্বেও ৩১৯ রানে থামে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরও দৃঢ়তা দেখান ভারতের ব্যাটাররা। তৃতীয় দিনে ২ উইকেটে ১৯৬ রান তুলে দিন শেষ করে ভারত। এই দিনই সেঞ্চুরি করার পরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন জয়সোয়াল।
চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে মাঠে নামেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার শুভমান গিল ও কুলদীপ যাদব। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে কুলদীপের ভুলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর আবার মাঠে নামেন জয়সওয়াল। এরপর দ্রুতই ফিরে যান কুলদীপও। তবে পঞ্চম উইকেটে ইংলিশ বোলারদের তুলোধুনো করেন জয়সোয়াল ও অভিষিক্ত সরফরাজ। মাত্র ২৬.২ ওভারে গড়েন ১৭২ রানের জুটি। এরই মধ্যে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন জয়সোয়াল। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও মারকুটে হাফ সেঞ্চুরি তোলেন সরফরাজ খান। ৪ উইকেটে ৪৩০ রান তুলে ভারত ইনিংস ঘোষণা করলে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৫৭ রানের।
জবাব দিতে নেমে চা বিরতির আগেই বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলির উইকেট হারায় ইংলিশরা। আর শেষ সেশনে হারায় ৮ উইকেট। ভারতীয় স্পিনারদের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি সফরকারীরা। ৫ উইকেট দখল করেন প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে শতকের দেখা পাওয়া রবীন্দ্র জাদেজা। শেষদিকে মাত্র ১৫ বলে ৩৩ রান করেন মার্ক উড। তাতে পরাজয়ের ব্যবধানই কমে শুধু ইংল্যান্ডের। দলের সর্বোচ্চ ইনিংসও সেটি।