সিলেটকে বিদায় করে প্লে-অফের আরও কাছে বরিশাল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৩৫তম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ১৮ রানে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। এ জয়ে আসরটির প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে আরও এগোল তামিম ইকবালের দল। তবে হেরে লিগপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে সিলেটের। বাকি থাকা দুই ম্যাচে জিতলেও প্লে–অফে ওঠা হবে না গতবার ফাইনালিস্টদের।
আজ শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় খেলা শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা বরিশাল মুশফিকুর রহিম ও কাইল মেয়ার্সের ব্যাটে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করে। জাবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে সিলেটের ইনিংস।
১৮৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মেয়ার্সের শিকারে দলীয় শূন্য রানেই ২ উইকেট হারায় সিলেট। এরপর ৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে দলটি। অবশেষে সিলেটকে এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করে জয়ের স্বপ্নও দেখান বেনি হাওয়েল ও আরিফুল হক। তারা ৫২ বলে ১০৮ রানে জুটি গড়েন।
তবে দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করলেও শেষ পর্যন্ত সিলেটকে জেতাতে পারেননি। হাওয়েল ৩২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আউট হন। আর আরিফুল ৩১ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৭ করে বিদায় নেন।
বরিশাল বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান কাইল মেয়ার্স।
টস জিতে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের দুই ওপেনার অবশ্য নিজেদের সেরাটা দিতে পারেননি। তানজিম হাসান সাকিব দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (১৯) ও আহমেদ শেহজাদকে (১৭) বিদায় করেন। মাঝে হ্যারি টেক্টরের বলে সৌম্য সরকারও দ্রুত বিদায় নেন।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স ও মুশফিকুর রহিম। তারা ৪৮ বলে ৮৪ রানে পার্টনারশিপ গড়েন। ফিফটি বঞ্চিত হওয়া মেয়ার্স ৩১ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কায় ৪৮ রানে মাঠ ছাড়েন। তবে হাফসেঞ্চুরি করে মুশফিক রান আউটে কাঁটা পড়েন। এই ব্যাটার ৩২ বলে ৩টি চার ও সমান ছক্কায় ৫২ রান করেন। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১২ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ১৫ রানে দলীয় ১৮৩ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বরিশাল।
সিলেট বোলারদের মধ্যে তানজিম সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান। একটি করে উইকেট দখল করেন শফিকুল ইসলাম ও টেক্টর।
১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে বরিশাল। এরই মধ্যে প্লে–অফ নিশ্চিত হয়ে যাওয়া রাইডার্স ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লার পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ১৪। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে খুলনা। সমান পয়েন্ট নিয়ে চট্টগ্রাম আছে পঞ্চম স্থানে।