আলু-মরিচের স্বস্তি উধাও পেঁয়াজ-মাংসে
সপ্তাহের ব্যবধানে আলু ও কাঁচামরিচসহ কিছু তরিতরকারির দাম কমেছে। উল্টো চিত্র গরু ও মুরগির মাংসের বাজারে। গরুর মাংসের কেজি ঠেকেছে ৭৫০ টাকায়; ২১০ টাকা হয়েছে ব্রয়লার মুরগির কেজি। আর বরাবরের মতো নিয়ন্ত্রণের বাইরে পেঁয়াজের বাজার; খুচরায় এক কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীর কয়েকটি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে গরুর মাংসের কেজি ছিল ৭০০ থেকে ৭২০ টাকার মধ্যে। গতকাল শুক্রবার সেটা হয়ে যায় ৭৫০ টাকা। হাতেগোনা কয়েকজন বিক্রেতা অবশ্য ৬৯০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার আলোচিত মাংস বিক্রেতা মো. খলিল এখনো ৬৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, ‘গরুর বাজারে বাড়তি দামের কারণে ৬৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু অন্যরা ৭৫০ টাকা বিক্রি করছেন। আমার নীতি হচ্ছে সামান্য লাভ রেখে কম দামে বিক্রি করব।’
কদমতলী এলাকার মাংসবিক্রেতা মো. মামুন বলেন, ‘৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে দেখেছি। তাতে হাড্ডি ও চর্বি দিতে হয় বেশি। এতে ক্রেতারা নারাজ হন। তাছাড়া গরুর দাম এখন বেড়ে গেছে। তাই এখন ৭৫০ টাকা বিক্রি করছি।’
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে সরবরাহ কমার কারণ দেখিয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার এ মুরগির কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে ছিল ২০০ টাকার নিচে। সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ টাকাও নেওয়া হচ্ছে। ডিমের বাজারও উত্তপ্ত; ফার্মের ডিমের ডজন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
মালিবাগ বাজারের খুচরা মুরগি বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, কাপ্তান বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম হুট করে বেড়ে যায়। আর শুক্রবারে চাহিদাও বেশি থাকে। এ সুযোগে দাম বাড়িয়ে দেন পাইকাররা। কাপ্তান বাজারে ব্রয়লার কেনা পড়েছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা কমেনি। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা পর্যন্ত। কদমতলী সাদ্দাম মার্কেটের খুচরা বিক্রেতা মো. মিলন হোসেন বলেন, আড়তগুলোতে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। হালি পেঁয়াজ আসতে আরও সময় লাগবে। তার ওপর সামনে রোজা। সব মিলিয়ে চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বাজার অনেক চড়া। আমদানি না বাড়লে
দাম কমার সম্ভাবনা কম।
চলতি সপ্তাহে সবজির বাজারে কিছুটা উত্তাপ কমলেও দাম এখনও অনেকটাই চড়া। বাজারে আলু, মুলা ও পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে সবজি নেই। গোল বেগুন মানভেদে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। শিমের কেজি মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একেকটি ফুলকপি ও পাতাকপির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলা ও লাউয়ের দামও কমেনি। করলার কেজি এখনও ১০০ টাকার আশপাশে। ৮০ টাকার নিচে লাউ পাওয়া কঠিন। আলু ও কাঁচামরিচের দাম অনেকটা কমেছে। বাজারে আলুর কেজি এখন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং কাঁচামরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন