খুলনার বুকে ‘হৃদয় ঝড়’, ৪ জয়ের পর টানা ৫ হার বিজয়দের
এবারের বিপিএলে শুরুর ৪টি ম্যাচের সবকয়টিতে জিতে রীতিমতো উড়ছিল খুলনা টাইগার্স। তবে পঞ্চম ম্যাচে এসে ঘটে ছন্দপতন। হারানো সেই ছন্দ আর ফিরে পায়নি এনামুল হক বিজয়ের দল। আজ বুধবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচসহ দেখল টানা ৫ হার।
প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজিই গড়েছিল খুলনা। তবে তাদের ওপর আজ ঝড় বইয়ে দেন এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তাওহীদ হৃদয়। তার ঝোড়ো ৯১ রানেই খুলনার বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় কুমিল্লা।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কুমিল্লার ২ উইকেট পড়ে ৪৪ রান তুলতেই। তৃতীয় উইকেটে জনসন চার্লসকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন হৃদয়। তাতে চার্লসের অবদান মাত্র ১৩ রান। আর চতুর্থ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে অপরাজিত ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।
৪৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত ছিলেন হৃদয়। সমান ৭টি চার ও ছক্কায় নিজের এই ইনিংস সাজান তিনি। এর মাধ্যমে চলমান বিপিএলে সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিকও হয়ে গেলেন তিনি। আরেক পাশে জাকের ৩১ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিংই বেছে নিয়েছিল খুলনা। শুরু থেকেই ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে খুলনা। তবে অ্যালেক্স হেলস, আফিফ হোসাইন কিংবা এনামুল হক বিজয় বিশ ছুঁইছুঁই কিংবা তার বেশি রানের ইনিংস খেললেও স্ট্রাইকরেট খুব একটা ভালো ছিল না।
খুলনা লড়াকু পুঁজির স্বপ্ন দেখে এভিন লুইস ও মাহমুদুল হাসান জয়ের চতুর্থ উইকেট জুটিতে। এই দুজন ৩২ বলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ১২৮ রানে জয় (১৯ বলে ২৮) ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ১৩৯ রান হতে ফেরেন এভিন লুইস (২০ বলে ৩৬) আর লুক উডও। শেষের দিকে ওয়েইন পারনেলের ১১ বলে ঝোড়ো ২০ রানে ১৬৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় খুলনা।
কুমিল্লার হয়ে দুই বিদেশি বোলার মঈন আলী ও ম্যাথিউ ফোর্ড ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে রানও দিয়েছেন অকৃপণভাবে। মঈনের ৪ ওভারে ৪৬ রান নিয়েছে খুলনা, ফোর্ডের ৪ ওভারে ৩৬। অন্যদিকে, একটি করে উইকেট পেলেও ৪ ওভারে আলিস আল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান যথাক্রমে রান দিয়েছেন ২৩ ও ২৮।