ফুলবাণিজ্যে ফাগুনের হাওয়া
কোভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে দুই বছর ধরে ছন্দে ফিরেছে ফুলের বাজার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, জানুয়ারিতে সামাজিক অনুষ্ঠান বেশি থাকায় বছরের শুরুটা তাদের ভালোই কেটেছে। আর বড় চার উপলক্ষ থাকায় ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্য বাড়বে কয়েক গুণ।
চলতি মাসে রয়েছে পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস, সরস্বতী পূজা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ বিষয়ে দৈনিক আমাদের সময়কে বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি ও ঢাকা ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শ্রী বাবুল প্রসাদ বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘিরে ইতোমধ্যে ফুলের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে। তবে অতীতের তুলনায় এই ফেব্রুয়ারিতে বিক্রি কম। কিন্তু দাম বেশি থাকায় বাণিজ্যের হিসাবটা বেশি।
সারাদেশে ফুলচাষি ও ব্যবসায়ীদের ২৬টি সংগঠনের সম্মিলিত কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি’। সংগঠনটির হিসাবে সারাবছর দেশে ১২০০ থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার ফুলের বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে চলতি মাসে হতে পারে ২০০ কোটি টাকার।
গতকাল রাজধানীর শাহবাগ ফুল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে ফুলে ফুলে নতুন করে সেজেছে সব দোকান। একই দিনে (১৪ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুন, ভালোবাসা দিবস ও সরস্বতী পূজা থাকায় চাহিদা অনেক বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ আমাদের সময়কে বলেন, বহুদিন বাদে ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় ফিরেছেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘিরে অন্তত ১৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে এ বাজারে। বেশিও হতে পারে। তবে এবার দাম বেশি। বাগান মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
শাপলা পুষ্প কেন্দ্রের মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ‘এবার সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ব্যবসা ভালো যাচ্ছে। ব্যস্ত সময় পার করছি আমরা।’
নিউ করবী পুষ্পালয়ের মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিক্রি ভালো, আমরা খুশি। তবে পাইকারিতে ফুলের দাম অনেক বেড়েছে।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
এ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি গোলাপের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। গোলাপ এখনো ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু পাইকারি বাজারে দাম হু হু করে বাড়ছে। এভাবে চললে ১৪ ফেব্রুয়ারি গোলাপের দাম ৫০ টাকাও পড়তে পারে।
পাইকারি ব্যবসায়ী মো. সাব্বির হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘিরে বিক্রি বাড়লেও দাম দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। ১২০০ টাকার দেশি গোলাপের বান্ডেল (১০০ পিস) হয়ে গেছে তিন হাজার টাকা। দুই হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া ভারতীয় গোলাপের ১০০ পিসের বান্ডেল হয়েছে ছয় হাজার টাকা। আর ২০ পিসের চায়না গোলাপের বান্ডেল বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার টাকা, যা গত মাসে ছিল দুই হাজার টাকা। দাম আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম