বিপিএলের ৩ পর্ব শেষে ব্যাট হাতে দেশিদের দাপট
গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল বিপিএলের দশম আসর। ঢাকা থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটি সিলেট ঘুরে শেষ করে ফেলেছে ঢাকার দ্বিতীয় পর্বও। নির্ধারিত ৪৬টি ম্যাচের মধ্যে শেষ হয়েছে ২৮টি। এই পর্ব শেষে এখন চলছে বিরতি। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম পর্ব। সেখানে খেলা হবে ১২টি ম্যাচ। বিগত ৩ পর্বে ব্যাটে-বলে নিজেদের জাত চিনিয়েছেন বেশ কিছু ক্রিকেটার।
এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে দাপট দেখাচ্ছেন দেশি ক্রিকেটাররা। শীর্ষ ১০ জনের ৮ জনই দেশি, শীর্ষ পাঁচের ৪ জন। অবশ্য এর বড় কারণ, স্থায়ীভাবে বিদেশি ক্রিকেটারদের না থাকা। পুরো সময়ের জন্য খুব কম বিদেশি তারকাই খেলছেন। রান তোলায় সবার ওপরে এরই মধ্যে বিদায় নিশ্চিত হওয়া দুর্দান্ত ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখের। ৯ ম্যাচে প্রায় ৩০ গড়ে ২৬৬ রান করেছেন তিনি। দুইয়ে থাকা বাবর আজমের ৬ ইনিংসের রান ২৫১।
এবারের বিপিএলে এখনো পর্যন্ত একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে। রান তোলায় তিনে আছেন জাতীয় দলে খেলা এই তারকা। ৭ ম্যাচে তার রান ২৫০। গড় এবং স্ট্রাইকরেটও ঈর্ষণীয়; ৪১.৬৬ ও ১৫১.৫১। প্রথম দুই পর্ব শেষে সবচেয়ে বেশি রান ছিল ফরচুন বরিশালের মুশফিকুর রহিমের। তবে ঢাকায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় পর্বে তেমন রান পাননি উইকেটকিপার এই ব্যাটার। ৮ ম্যাচ শেষে তার রানের সংখ্যা ২৩৯।
সেরা পাঁচে থাকা অন্য ক্রিকেটার হলেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। ৭ ম্যাচে ২২৮ রান তার। সেরা পাঁচে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে তার গড়ই সবচেয়ে বেশি, ৫৭। ফিফটির সংখ্যাও তার সর্বোচ্চ। ৩টি পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন বিজয়।
শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য ক্রিকেটাররা হলেন- ফরচুন বরিশালের, তামিম ইকবাল, সিলেট স্ট্রাইকার্সের জাকির হাসান, বরিশালের আরও ২ ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ঢাকার অ্যালেক্স রস। এর মধ্যে একটি দিক দিয়ে মাহমুদউল্লাহ অনন্য। স্ট্রাইকরেটে (১৪৪.৮৮) অন্য সবার চেয়ে অনেক এগিয়ে তিনি।