সৈকতে কচ্ছপের আরও ১৩২ ডিম
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের আরও একটি সামুদ্রিক কচ্ছপ ১৩২টি ডিম পেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১২টায় উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়া সৈকতে ডিম দিয়ে কচ্ছপটি সাগরে ফিরে যায়।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) বিজ্ঞানীরা ডিমগুলো সংগ্রহ করে বৈজ্ঞানিক উপায়ে সৈকতের হ্যাচারিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা করেছেন বলে জানিয়েছেন বোরির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ। তিনি বলেন, এর আগে একই সৈকতে আরও একটি কচ্ছপ ১২৫টি ডিম পেড়েছিল। ডিমগুলোও বাচ্চা ফোটানোর জন্য সংরক্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, সৈকতের প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রায় দুই ফুট মাটি খুঁড়ে ডিমগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুটবে। এরপর বাচ্চাগুলো সাগরে অবমুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
তিনি আরও জানান, নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সামুদ্রিক কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম ধরা হয়। এর মধ্যেই মা কচ্ছপ ডিম পাড়তে সৈকতের তীরে আসে। এ সময় সৈকতে এসে অনেক জায়গায় কচ্ছপ মারাও পড়ছে।
এদিকে চলতি মাসের ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি উখিয়া ও টেকনাফ সৈকতে আরও নয়টি মা কচ্ছপ ১ হাজার ৭৭টি ডিম পেড়েছে। ডিমগুলো বেসরকারি সংস্থা কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (কোডেক) নিজেদের হ্যাচারিতে বাচ্চা ফোটানোর উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের মাধ্যমে সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল