পাকিস্তানের নির্বাচনে কে জিতবেন, জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২
শেয়ার :
পাকিস্তানের নির্বাচনে কে জিতবেন, জানালেন ভারতীয় ক্রিকেটার

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) থেকে এই ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা একটানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতিতেই হচ্ছে ভোট গ্রহণ। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন।

পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে মন্তব্য করে বসেছেন ভারতীয় সাবেক ব্যাটার আকাশ চোপড়া। তার ধারণা, নির্বাচনে কে জিতবেন এ নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই।

আকাশ চোপড়া এক্স-এ (টুইটার) অনুসারীদের কাছে আহ্‌বান জানিয়েছেন, তাকে প্রশ্ন করার জন্য। এমন ক্ষেত্রে ক্রিকেট বা ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু তাকে চমকে দিতেই হয়তো এক অনুসারী প্রশ্ন করে বলেন, ‘পাকিস্তানে কে জিতবেন নির্বাচনে? এবারই আপনার আসল পরীক্ষা হবে।’

অনেকেই ধরে নিয়েছিল, এমন বিতর্কিত বিষয়ে উত্তর হয়তো দেবেন না, এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু ভক্ত যেটা আশা করেননি সেটাই হয়েছে। অকপটে সম্ভাব্য বিজয়ীর নাম ঘোষণা করেছেন চোপড়া, ‘এটা খুবই সহজ। নওয়াজ শরীফ।’

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হয়। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে আগের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইমরান খানকে সাজা প্রদান, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের আদালতের বারান্দায় ছোটাছুটি ও দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া-এমন নানা বিষয় আলোচনায় রয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) পায়নি।

এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামির জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানের কিছু এলাকায়। গতকাল বুধবার পৃথক বোমা ও গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন।