বাজে ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে হারল তারকাখচিত বরিশাল
এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে ‘মিনি জাতীয় দল’ বলছেন অনেকে। বলবেনই না কেন? এই দলে খেলে থাকেন দীর্ঘদিন বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলা তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজের মতো ক্রিকেটাররা। তবে এতসব ক্রিকেটার নিয়েও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে পারেনি বরিশাল।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল। হার দেখে ১৬ রানে।
১৪৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা বরিশাল ২৯ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। একে একে ফিরে যান আহমেদ শেহজাদ, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর জুটি গড়ে বিপদ সামলে ওঠার চেষ্টা করেন তামিম ও মুশফিক। তবে তাদের ব্যাট চলছিল মারাত্মক ধীরগতিতে। এর মধ্যে ৬৮ রানের মাথায় আউট হয়ে দলের বিপদ ঘনীভূত করেন মুশফিক। ১৩ বলে মাত্র ৯ রান করেন তিনি।
এরপর শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তামিম। তবে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে হতাশ তামিম ৯০ রানের মাথায় এক অদ্ভূত আউট হন। হাফ সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে বিদায় নেন বরিশাল অধিনায়ক। দ্রুতই আউট হন শোয়েব মালিকও।
শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৫০ রান। সেই সময়ে বড় শটের দরকার হলেও নির্বিষ ব্যাটিং করতে দেখা যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। ১১৭ রানের মাথায় ৮ বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হন তিনি। আটে নামা সাইফউদ্দিনের ১৮ বলে অপরাজিত ৩০ রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমায়। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করতে সক্ষম হয় বরিশাল।
এদিকে, প্রথমে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ করেনি চট্টগ্রাম। ৩৯ রান আসে তানজিদ হাসান তামিম ও এই ম্যাচে অভিষিক্ত জশ ব্রাউনের ব্যাটে। যদিও তানজিদের ব্যাটিং ছিল বেশ দৃষ্টিকটূ। ১৯ বলে ১০ রান করে দলীয় ৩৯ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি। তার উইকেট নেন এবারের আসরে প্রথমবারের মতো মাঠে নামা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
দ্বিতীয় উইকেটে আরেক বিদেশি টম ব্রুসকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন ব্রাউন। ৭১ রানের মাথায় ২৩ বলে ৩৮ রান করা ব্রাউনকে বোল্ড করেন তাইজুল ইসলাম। এরপর উইকেটে টিকে থাকলেও বেশ মন্থর ব্যাটিং করেন শাহাদাত হোসেন দীপু। দলীয় ১০৪ রানে যখন তিনি ফেরেন, নামের পাশে তখন ২০ বলে ১৫ রান।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাজিবুল্লাহ জাদরান কিংবা সৈকত আলীও। তবে একপাশে শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন ব্রুস। শেষ পর্যন্ত ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৪০ বলের ইনিংসটি সাজান ৫টি চার ও ২ ছক্কায়। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করতে পারে চট্টগ্রাম।