ইভ্যালি আবার নজরদারিতে
গ্রাহকদের অর্থ ফেরতে কমিটি গঠন
ফের সরকারের নজরদারিতে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও গ্রাহকদের অর্থ ফেরতের বিষয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পর্যালোচনা কমিটি গঠন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া গ্রাহকদের টাকা দ্রুততম সময়ে ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনাও চেয়েছে মন্ত্রণালয়। ইভ্যালি ও ইভ্যালিসংশ্লিষ্ট গেটওয়েগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের সম্প্রতি এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। খবরসংশ্লিষ্ট সূত্রের। কমিটিতে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিবকে প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, ইক্যাব, নগদ, বিকাশ, উপায়, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, এসএসএল কমার্সের প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, আদালত কর্তৃক নিযুক্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ইভ্যালির অ্যাকাউন্টে ৪ হাজার ৮৬৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা জমার বিষয়ে তথ্য দিয়েছিল। এ অর্থ শুধু মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের মাধ্যমে লেনদেন হয়। বিপুল পরিমাণ এই লেনদেন সম্পর্কে ঠিকঠাক তথ্য দিতে পারেননি ইভ্যালির কর্মকর্তারা। এর বাইরে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থের মধ্যে গ্রাহকদের মাত্র ১০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে ইভ্যালি। এর বাইরেও রয়েছে বিপুল পরিমাণ লেনদেন। সার্ভার চালু না হওয়ায় যার হিসাব পাচ্ছে না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, ইভ্যালির এমডি রাসেলকে চার মাসের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। যদিও রাসেল জানান, তিনি যে ‘বিগব্যাং অফার’ চালু করেছেন, এটা সঠিকভাবে করতে পারলে গ্রাহকের টাকা দ্রুত ফেরত দিতে পারবেন। কতদিনের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ হবেÑ এর কোনো সদুত্তর মেলেনি। এ সময় তার নতুন ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে, নতুন ব্যবসার মূলধন কোথা থেকে আসবে, কীভাবে ক্রেতার স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবেÑ এসব বিষয়ে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য একটি সময়াবদ্ধ পরিকল্পনাও চাওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর যে অর্থ পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে ছিল, তারা শুধু সেটার কিছু তথ্য দিয়েছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবেও কিছু অর্থের সন্ধান মিলেছে। আমরা এখন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকে সার্ভারের তথ্যসহ অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা দিতে বলছি।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন