বিকিকিনি বেড়েছে বাণিজ্যমেলায়
জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকে মেলার স্টলগুলোয় ছিল ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। ছুটির দিন হওয়ায় বিকালের আগেই মেলা প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। ক্রেতা বাড়ায় হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখেও। এছাড়া মেলায় শিশুপার্ক ফ্লিপার, ওয়াটারবকল, নাগরদোলা, নৌকা, ট্রেনসহ বিভিন্ন রাইডগুলোতে দেখা যায় শিশু ও অভিভাবকদের ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিক্রির পরিমাণ অনেক বেড়েছে। মেলার আয়োজকরা জানান, প্রত্যাশার তুলনায় বেশি লোক সমাগম হয়েছে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-দর্শনার্থীদের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য ও গৃহস্থালি পণ্যেরই চাহিদা বেশি। এছাড়া বিভিন্ন অ্যালমুনিয়ামের বাসনের দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতারা জানান, বিভিন্ন মার্কেট-শোরুমে নিত্যপণ্যের দাম বেশি। এছাড়া নকল ও নিম্নমানের পণ্যের ভয় আছে। কিন্তু বাণিজ্যমেলায় বিশেষ ছাড়ে আসল পণ্য পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীর শাহবাগ থেকে আসা ব্যাংকার হাসন সিদ্দিক বলেন, আরএফএলের পণ্য টেকসই, আবার কিছু ছাড়ও রয়েছে। তাই এখান থেকে গৃহস্থালির প্রায় সব পণ্যই কিনেছি। ‘আল্লাহর দান’ স্টলের বিক্রয়কর্মী সোহেল বলেন, আমরা মাত্র ১৩০ টাকায় খেলনাসহ ক্রোকারিজ আইটেম বিক্রি করছি। অনেক মানুষ এসেছে। সাড়াও ভালো। কিয়াম ও দিল্লি অ্যালমুনিয়ামের প্যাভিলিয়নে মিলছে প্রেসার কুকার, হাঁড়ি, বাসন, টিফিন বক্স। কিয়ামের বিক্রয় কর্মী আলমগীর বলেন, কোনো মূল্যছাড় দিচ্ছি না। আমাদের পণ্য অথেনটিক, এজন্য খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া জয়িতাসহ বেশ কয়েকটি পোশাকের স্টলেও ভিড় দেখা গেছে। জয়িতার বিক্রয়কর্মী সৌরভ হোসেন বলেন, ঘর সাজানো নানা উপকরণ, শতরঞ্জি বিক্রি হচ্ছে বেশি। কোনো ডিসকাউন্ট দিচ্ছি না।
বাণিজ্যমেলায় যাতায়াতের জন্য এবার ১০০টিরও বেশি বিআরটিসি বাস থাকছে। ছুটির দিনে চলাচল করছে ২০০ বাস। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করতে ফার্মগেট থেকে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
