‘পাঁচ মাস হয়ে গেল ছেলের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি’
বড্ড একাকীত্বে ভুগছেন ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। ছেলে জোরাভার তার কাছে নেই। ১০ বছরে পা দেওয়া সন্তানকে অনেক মাস হলো দেখতে পারছেন না। ছেলের সঙ্গে সময় কাটাতে পারছেন না। সাবেক স্ত্রী আয়েশার মুখার্জির সঙ্গে আইনি জটিলতার কারণেই এমনটি হচ্ছে। তাই এবার বাধ্য হয়েই ফের একবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন।
দেশটির ওপেনারের ভূমিকায় খেলা শিখরের দাবি সাবেক স্ত্রী আয়েশা তার সন্তানকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। শিখরকে নাকি সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ব্লক করে দিয়েছেন আয়েশা।
‘হিউম্যানস অফ বোম্বে’ নামক একটি ইউ টিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ধাওয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার যন্ত্রণা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। আর তাই নিজের চিন্তাভাবনা আজকে এখানে বলছি। পাঁচ মাস হয়ে গেল আমার সঙ্গে আমার ছেলের কোনো কথা হয়নি। আমি নিজের অনুভূতির কথা লিখছিলাম মাত্র। ছেলের জন্য ইনস্টাগ্রামে প্রায় বার্তা লিখেছি। তবে জোরাভার সেই পোস্টগুলো দেখেছে কিনা জানা নেই।’
শিখরের আরও ব্যাখ্যা, ‘আমি খুব আবেগপ্রবণ মানুষ। আমি আমার সন্তানকে আমার ভালোবাসা পৌঁছে দিতে চাইছিলাম। আমি যদি ওর বিষয়ে ভাবতে গিয়ে সবসময়ে দুঃখে থাকি তাহলে ওর মধ্যেও নেগেটিভ এনার্জি পৌঁছে যাবে। এবং বাবা হিসেবে সেটা আমি কখনওই চাইতে পারি না।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘অনেক সময় এমন গিয়েছে যে আমি ভেবেছি, পরিকল্পনা করেছি অস্ট্রেলিয়াতে এক সপ্তাহের বেশি সময় কাটাতে। এর একটাই উদ্দেশ্য, ছেলের সঙ্গে দেখা করার একটা সুযোগ পাওয়া। তার সঙ্গে সময় কাটানো। আমাদের মধ্যে দেখা খুব সামান্য সময়ের জন্য হত। মাঝেমধ্যে কয়েকদিনের জন্য দেখা হয়েছে। যার মধ্যে আমরা মাত্র ১-২ ঘণ্টা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে পেরেছি।’
এর আগে প্রেম করে বাঙালি মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন শিখর। তবে খুব বেশিদিন একসঙ্গে সংসার করা হয়নি। আয়েশার সঙ্গে সম্পর্ক তিক্ততা চরমে পৌঁছায়। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন ভারতের সাবেক ওপেনার।
অবশেষে আইনি পথে দুজন আলাদা হয়ে যান। এদিকে ছেলে জোরাভার মায়ের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। ফলে ছেলের সঙ্গে দেখা করার উপায় পর্যন্ত নেই। আর তাই জোরাভারকে নিয়ে ভাবতে বসলেই একাকীত্বে ভুগছেন তিনি।