বাবরের সঙ্গে ওপেনিং জুটি ভাঙায় রিজওয়ানেরও অসন্তোষ প্রকাশ

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:১০
শেয়ার :
বাবরের সঙ্গে ওপেনিং জুটি ভাঙায় রিজওয়ানেরও অসন্তোষ প্রকাশ

দীর্ঘদিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধন করে আসছিলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে বিশ্বকাপ শেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ওপেনিংয়ের দায়িত্ব থেকে বাবরকে সরিয়েছে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্ট। রিজওয়ানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে খেলছেন সাইম আইয়ুব। সেখানে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না সাইম। 

বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন আগে প্রশ্ন তুলেছিলেন পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা। রমিজের প্রশ্ন, বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি ভেঙে কী লাভ হলো পাকিস্তানের? এবার রিজওয়ানও জানালেন এমন সিদ্ধান্তে ক্ষতি হয়েছে দলের। 

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ৪ ম্যাচেই হার দেখেছে পাকিস্তান। চতুর্থ ম্যাচে দলের হয়ে ব্যাট হাতে একাই লড়াই করেছেন রিজওয়ান। দলের ১৫৮ রানে একাই ৯০ রান করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ওপেনিংয়ে নেমে এদিন ১ রান করেই ফিরে গেছেন সাইম। দ্বিতীয় উইকেটে বাবরের সঙ্গে ৫১ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। ১৯ রান করে ফেরেন বাবর। ম্যাচটি ৭ উইকেটে হেরে যায় পাকিস্তান।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাবরের সঙ্গে ওপেনিং জুটি নিয়ে রিজওয়ান বলেন, ‘আপনি বলতে পারেন এটি (ওপেনিং জুটি ভাঙা) পাকিস্তানকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাবর ভাই বড় হৃদয়ের মানুষ। আমরা দুজনই বলেছি (ওপেনিং জুটি ভাঙায়) আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা ম্যানেজমেন্টকে বলেছি তারা যে কম্বিনেশন যায় তার জন্য যেকোনো চেষ্টা করতে পারে। সমস্যা তখন হয়, যখন আপনি একটি জিনিস সুন্দরভাবে চলা সত্ত্বেও ভেঙে ফেলেন।’

এর আগে ওপেনিং জুটি ভাঙা নিয়ে রমিজ বলেছিলেন, ‘বাবর-রিজওয়ানের জুটি ভাঙার জন্য অনেক চাপ তৈরি করা হয়েছে। নতুন খেলোয়াড় নিয়ে আসতে পারেন, তারা লিগে ভালো করতে পারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভিন্নরকম, এখানে চাপ আছে, সারা বিশ্বের নজরও থাকে এদিকে। আপনি এমন একটি ওপেনিং জুটি ভেঙে দিলেন, যেটা পুরো দুনিয়ায় বিখ্যাত। ওপেনিং জুটি গড়তে সময় লাগে। এটা সহজ কোনো কাজ নয়। সুতরাং যদি আপনার কাছে এমন একটি জুটি থাকে, যারা ম্যাচ বাঁচিয়ে রাখে, সেই জুটি ভেঙে কী লাভ হয়েছে আপনার?’

পাকিস্তানের হয়ে ৫১ বার টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস উদ্বোধন করেছেন বাবর ও রিজওয়ান। এই সংস্করণে পাকিস্তানের হয়ে যেটি সর্বোচ্চ। এই সময়ে এই জুটি থেকে এসেছে ২ হাজার ৪০০ রান। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও সর্বোচ্চ। এই জুটির ৮টি শতরানের জুটি আছে।