নবীর ওপর কেন রেগেছিলেন রোহিত, দ্রাবিড়ের উল্টো সুর
ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি ঘটনাবহুল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। গতকাল বুধবার ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে প্রথমে ব্যাট করা ভারতের ২১২ রান দ্বিতীয় ইনিংসে ছুঁয়ে ফেলে আফগানিস্তানও। এরপর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। ১৬ রানের সেই সুপার ওভারও হয় ‘টাই’। শেষমেষ দ্বিতীয় সুপার ওভারে আফগানদের হারিয়ে দেয় রোহিত শর্মার দল।
তবে শুধু দুইটি সুপার ওভারই ম্যাচের আলোচনায় বিষয় নয়। উঠে আসবে, রোহিত শর্মা ও রিংকু সিংয়ের সেই বিধ্বংসী জুটি, বিরাট কোহলির মাস্টারক্লাস ফিল্ডিং কিংবা গুলবাদিন নাইবের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং। আরও একটি জিনিস নিয়ে চলছে আলোচনা। সেটি হচ্ছে- প্রথম ওভারে আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীর সঙ্গে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়।
ঘটনাটি ঘটে প্রথম সুপার ওভারের আফগান ইনিংসের শেষ বলে। মুকেশ কুমারের করা সেই বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা নবী। তবে এক রানের জন্য দৌড় দেন তিনি ও আরেক প্রান্তে থাকা রাহমানুল্লাহ গুরবাজ। বলটি ধরে মুকেশের দিকে নিচু করে ছুঁড়ে মেরেছিলেন ভারতের উইকেটকিপার সাঞ্জু স্যামসন। তবে এটি মুকেশের হাতে পৌঁছানোর আগেই লাগে নবীর পায়ে। পরে চলে যায় লং অনে। সেই সুযোগে আরও দুই রান নিয়ে নেন নবী।
সাধারণত, বেশিরভাগ ব্যাটারই এমন পরিস্থিতিতে রান নেন না। কিন্তু রান নিয়েছেন নবী। এমনকি লং অনে থাকা বিরাট কোহলির কাছে বল গেলেও তিনি তড়িঘড়ি করে বল হাতে নেননি। বরং ইশারায় বোঝাতে থাকেন এটি নবীর পায়ে লেগেছে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক রাগ দেখান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নবীর সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কিছু একটা বলেন। রোহিত তর্ক করতে থাকলেও নিজের জায়গায় অনড় ছিলেন নবী। রানগুলি বৈধ হওয়ায় অতিরিক্ত এই দুই রান যোগ হয় আফগানদের ইনিংসে।
ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, নবী যা করেছেন সেটি অবৈধ নয়। বল তার পায়ে লাগবে কি না সেটি না জেনেই তিনি নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে দৌড় দিয়েছেলেন। তবে এটিকে ক্রিকেটের চেতনা পরিপন্থী হিসেবেই ধরা হয়।
তবে নবীর বিষয়টিতে কোনো সমস্যা দেখছেন না ভারতের প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘না, এটি হতেই পারে। খেলার একটি অংশ এগুলো। আপনি ভুক্তভোগী হলে ব্যাপারটি আপনার জন্য হতাশাজনক কিন্তু এটি হতেই পারে, এমন হয়। আমার মনে হয়, আপনি (রান নেওয়ার জন্য) ছুটতে পারেন।’