স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে - আহসানুল ইসলাম টিটু

সাক্ষাৎকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ জানুয়ারী ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে - আহসানুল ইসলাম টিটু

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ করছে সরকার। এমন বাংলাদেশ গড়তে বাজার ব্যবস্থাপনাকেও স্মার্ট করতে হবে। স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনায় সরবরাহ চেইন অবাধ থাকবে। এক্ষেত্রে উৎপাদিত বা আমদানিকৃত পণ্য নির্বিঘ্নে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। এমন একটি স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। গতকাল শনিবার নতুন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু দৈনিক আমাদের সময়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার আবু আলী

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, রবিবার (আজ) আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে যাব। এরপর সবার সঙ্গে কথা বলে অগ্রাধিকার ঠিক করা হবে। একটা বিষয় নিশ্চিত করতে পারি যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনো সংকট থাকবে না। কেউ যেন কারসাজি করতে না পারে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকব। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক রাখা হবে। এক্ষেত্রে আমদানি করা পণ্য হোক বা দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্য হোক না কেন। উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য বাধাহীনভাবে সরবরাহ করা হবে। সরবরাহে যাতে ঘাটতি না হয়, সে জন্য সর্বোচ্চ দৃষ্টি থাকবে।

তিনি বলেন, সংকট মোকাবিলায় পণ্যের সরবরাহ সিস্টেম ধরে রাখা হবে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন ঘটানো হবে। দেশে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মানিকগঞ্জের সবজি ঢাকায় আসতে যাতে তিন দিন সময় না লাগে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলে বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখা যাবে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। কারণ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হলে কারসাজি করার কোনো সুযোগ থাকবে না। বিশেষ করে তেল ও চিনির বড় বড় সরবরাহকারী যারা আছেন, তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে। তিনি বলেন, আগামী রমজানে মজুদদাররা যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সে জন্য প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন, সে বিষয়েও বিশেষ নজর থাকবে। সাধারণ মানুষ যাতে স্বস্তিতে থাকতে পারেন, সে জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।

আহসানুল ইসলাম টিটু পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি ২০১৩-১৪ মেয়াদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদসস্য নির্বাচিত হন। ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত টিটু সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার নেতৃত্বে ২০১৩ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণ বা ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হয়। ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর গঠিত ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন বা ডিবিএর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও ছিলেন তিনি। পুঁজিবাজারের পাশাপাশি ব্যাংক, বীমা, চিকিৎসা, বস্ত্র, শিক্ষা এবং ওষুধ খাতেও তার রয়েছে অভিজ্ঞতা। বর্তমানে তিনি মোনা ফিন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান।