সিন্ডিকেট দূর করা বড় চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
সিন্ডিকেট দূর করা বড় চ্যালেঞ্জ


এক দশক পর দেশের স্বাস্থ্য খাতের দায়িত্ব পেয়েছেন একজন চিকিৎসক। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডা. আ ফ ম রুহুল হক এই দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এবার এই ভার উঠেছে প্রখ্যাত চিকিৎসক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের কাঁধে।

পেশাগত কারণে চিকিৎসার হালচাল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকলেও এত বড় দায়িত্ব এবারই প্রথম পাওয়ায় চ্যালেঞ্জ দেখছেন ডা. সামন্ত লাল। বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট মোকাবিলা করে মানুষের দোরগোড়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়াই প্রধান চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামীকাল রবিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাপ্তরিক কাজে যোগ দেবেন ডা. সামন্ত লাল। তার আগে গতকাল আমাদের সময়ের সঙ্গে কথা বলেছেন এই মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমি মন্ত্রী হওয়ার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। তাই হঠাৎ করে কিছু বলা আমার পক্ষে কঠিন। তবে আমার একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ খাত উন্নত করতে হলে সবার আগে চিকিৎসক সমাজকে ভালো রাখতে হবে। এটাতে আমি নজর দিতে চাই। কারণ, তারা যদি ভালো না থাকে কাক্সিক্ষত চিকিৎসা মিলবে না। চিকিৎসকদের অনেক কষ্ট রয়েছে, বছরের বছর ধরে অনেকের পদোন্নতি হচ্ছে না। যাকে

দিয়ে আমি কাজ করাব, তাকেই যদি শান্তিতে না রাখি, তাহলে কাজ

আদায় করব কীভাবে। আমি মনে করি, চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশে বিশ্বমানের চিকিৎসা পাওয়া যাবে।’

প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে সামন্ত লাল বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াটাই আমার মূল লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমি একই লক্ষ্য স্থির করেছি। শুধু ঢাকা শহর নয়, টেকনাফ-তেঁতুলিয়ায় যদি সব সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি, তাহলে তাকে আর মানুষকে ঢাকায় আসতে হবে না। মানুষ যাতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে চাই।’

স্বাস্থ্য খাতের অনিয়মের বিষয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘সিন্ডিকেট ও স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির কথা আমরা শুনে আসছি। কীভাবে এটা হয় সেটি আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। আমি চাই না এখাতে কোনো ধরনের নৈরাজ্য থাকুক। তবে এটা রোধ করা বড় চ্যালেঞ্জ।’

সরকারি হাসপাতালে বিকল যন্ত্রপাতির কারণে অধিকাংশ রোগ নির্ণয় বেসরকারিতে করাতে হয়। এ ব্যাপারে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যন্ত্রপাতি নষ্ট এবং ব্যবহার না করে ফেলে রাখার বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। আমার দ্বারা কোনোভাবেই কোনো অনিয়ম যাতে না হয়, সে চেষ্টা করব। পাশাপাশি চিকিৎসক থেকে শুরু করে অন্যান্য জনবল বাড়ানো গেলে স্বাস্থ্যসেবায় কাক্সিক্ষত পরিবর্তন আসবে। তবে আমার পক্ষে সবকিছু একা করা সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের সহযোগিতা ও মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিক হতে হবে। তবেই সফলভাবে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়তে পারব।’