পূর্ণ অংশগ্রহণমূলক ভোট না হলেও নিরর্থকও নয় - ড. শান্তনু মজুমদার
আজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। এ নির্বাচনে একটা বড় রাজনৈতিক দল আসেনি। ড. শান্তনু মজুমদার মনে করেন, এ কারণে এ নির্বাচন সম্পূর্ণ অংশগ্রহণমূলক হচ্ছেÑ এটি বলা চলবে না। তাই বলে নির্বাচন নিরর্থক- এটি বলাও বাড়াবাড়ি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এই অধ্যাপক আমাদের সময়কে আরও বলেন, দুপক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য আছে, সামনেও থাকবে। এখন মতপার্থক্য কেন্দ্র করে একপক্ষ নির্বাচনে আসেনি। তারা দুটি দাবি উত্থাপন করেছে। এক. প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। দুই. অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারপক্ষ এতে রাজি হয়নি। এমতাবস্থায় নির্বাচনটি হচ্ছে। এখানে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে না। তবে নির্বাচনে এতগুলো দল এসেছে। তাদের কী আমরা কোনোই মূল্য দেব না?
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আজকের ভোট নির্বাচনের কমিশনের জন্য চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে শান্তনু মজুমদার বলেন, এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হলো- ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কেমন হয়। দেখা গেছে, নির্বাচনকেন্দ্রিক বড় একটা উৎসব নেই। এর সঙ্গে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে ভোট প্রত্যাশার চেয়ে কম পড়বে। আবার দেখা গেল, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং সব প্রতিদ্বন্দ্বী যদি ভোটার আনতে সচেষ্ট থাকেন, তা হলে সরকার পক্ষ একটা শক্তপোক্ত বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে যাবে। দুই নম্বর চ্যালেঞ্জ হলোÑ সহিংসতা ও জালিয়াতিমুক্ত পরিবেশ কতটা বিরাজ রাখা যায়। বিশেষ করে, সকালের কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির যুগে আছি। পত্রিকাগুলো এখন অনলাইন সংস্করণ করছে। অর্থাৎ সেকেন্ডের মধ্যেই তথ্য ছড়িয়ে যাবে। দেশের কোনো একটা জায়গায় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হলে এটা সারাদেশের ভোটারদের নিরুৎসাহিত করবে। এ জন্য সকালে কয়েক ঘণ্টাসহ সারা দিন নির্বাচন কমিশন শূন্য সহনশীলতা জারি রাখতে পারলে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায়।