জামালের বিধ্বংসী বোলিংয়ের পর পাকিস্তানের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৩১৩ রান অতিক্রম করতে নেমে এক পর্যায়ে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান করে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। দেশটি যখন বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে, তখনই আমের জামালের আঘাত। সাজিদ খান ১ উইকেট নেওয়ার পর জামাল অল্প রানের মধ্যেই নিলেন ৪ উইকেট। ইনিংসে নিলেন মোট ৬ উইকেট। তাতে ২৯৯ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
লিডের স্বপ্ন না পাকিস্তানই ১৪ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটে নামে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে চূড়ান্ত ব্যর্থতা দেখান পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ৬৮ রান তুলতেই দলটি হারায় প্রথম ৭ উইকেট। ৩ উইকেট হাতে রেখে দেশটি তৃতীয় দিন শেষ করল মাত্র ৮২ রানের লিড নিয়ে।
প্রথম ইনিংসে আগের দিনের ২ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। সকালে স্টিভেন স্মিথ ও মারনাস লাবুশেনের বিপক্ষে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানের বোলাররা। ১৮৭ রানের মাথায় স্মিথ (৩৮) ফিরলে কিছুটা স্বস্তি পায় শান মাসুদের দল। একই রানে ফেরেন লাবুশেনও (৬০)। ট্রাভিস হেডও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তবে মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারি এরপর দারুণ জুটিতে পাকিস্তানের নাভিশ্বাস ছোটান। ২০৫ রানের হেডের বিদায়ের পর ৮৪ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ২৮৯ রানে ক্যারিকে (৩৮) ফিরিয়ে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন স্পিনার সাজিদ। বাকি কাজটুকু সারেন জামাল। ২৯৩ থেকে ২৯৯ রানের মধ্যে তুলে নেন মিচেল মার্শ (৫৪), প্যাট কামিন্স, নাথান লিয়ন ও জশ হ্যাজলউডকে।
দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সের পর সিডনিতে চলমান এই টেস্টে উজ্জ্বল স্বপ্নই দেখছিল পাকিস্তান। তবে সেই আশা ফিঁকে হতে শুরু করে দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই। ১ রানেই দলটি হারিয়ে বসে ২ উইকেট। এরপর নবাগত ওপেনার সাইম আইয়ুব ও বাবর আজম প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। গড়েন ৫৭ রানের জুটি। ৫৮ রানের মাথায় নাথান লায়নের বলে সাইমের এলবিডাব্লিউ হওয়ার পরই মড়ক শুরু হয়। ৯ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় দলটি। সাইমের পর একে একে ফিরে যান বাবর, সৌদ শাকিল, সাজিদ খান ও আগা সালমান। এর মধ্যে ‘০’ রানে আউট হন পাঁচ ব্যাটার।
৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানকে বিপর্যয়ে ফেলার বড় কারিগর পেসার জশ হ্যাজলউড। একটি করে উইকেট ভাগ করে নেন মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন ও ট্রাভিস হেড।