বর্ণিল আলোয় বর্ষবরণ

জাহাঙ্গীর সুর
০১ জানুয়ারী ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
বর্ণিল আলোয় বর্ষবরণ

নতুন করে পরিক্রমা শুরু করল পৃথিবী। মানুষের জন্য নতুন প্রত্যয় আর আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হয়ে পৃথিবীর আকাশে নবরূপে উদিত হলো সূর্য। অনেক দেশে বহু মানুষ বরণ করে নিল ইংরেজি নববর্ষকে। গেল মধ্যরাতে বর্ণিল আলোয় স্বাগত জানানো হলো ২০২৪ খ্রিস্টাব্দকে। আন্তর্জাতিক সময়রেখা থেকে অবস্থানের কারণে কোনো কোনো অঞ্চল অবশ্য ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন বছরকে আলিঙ্গন করতে পারবে।

প্রতিবারের মতো এবারও নতুন বছরকে প্রথমে স্পর্শ করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি। একই মহাসাগরের বেকার দ্বীপে নববর্ষ শুরু হবে কিরিবাতির চেয়ে ছাব্বিশ ঘণ্টা পর। এবার কিরিবাতির পর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে নববর্ষ শুরু হয়। সেখানে বর্ণিল আলোর আয়োজনে বর্ষবরণ করেছেন অনেকে। তবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন হয়। বর্ণিল আলোক-উৎসবের মধ্য দিয়ে হারবার সেতু থেকে হাজার হাজার মানুষ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রতিবছর এই সেতু থেকে আতশবাজি ও অসাধারণ আলোকসজ্জার মাধ্যমে নববর্ষ বরণ ও উদযাপন করা হয়।

পৃথিবীর আপন অক্ষে অবিরাম ঘূর্ণনের কারণে মানুষ ভোরে সূর্যকে পুবাকাশে উঠতে দেখে, সন্ধ্যায় পশ্চিমে অস্ত যেতে দেখে। আমাদের এই সৌরজগতে একটাই সূর্য। পৃথিবীর আকাশে সে সব সময়ই থাকে। কিন্তু নতুন বছরে তাকে নতুন করে কল্পনা করে মানুষ।

নতুন বছর মানুষের কাছে আশার সঞ্চারমাধ্যম হয়ে আসে। পুরনো বছরের গ্লানি, অতৃপ্তি ও হতাশা ভুলে নতুন আশা ও পরিকল্পনা করে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কার্যক্রম এবং আচরণকে মানুষ ঝালিয়ে নেয়।

বিপুলা এই মহাবিশে^ প্রতিদিন অবশ্য সাড়ে সাতাশ কোটি নতুন নক্ষত্র (আমাদের নক্ষত্রকে আমরা সূর্য বলে ডাকি) জন্ম নেয়। আজকের দিনেও তাই অযুত-নিযুত আলোকের জন্ম হলো। আমাদের আকাশগঙ্গায়- যে ছায়াপথে আমাদের সূর্যের ওঠাবসা, ঘোরাফেরা- প্রতিবছর গড়ে সাতটির মতো নক্ষত্র সৃষ্টি হয়।

এবারের নতুন বছরের উদযাপন নিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল এশিয়ার মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়া অন্যদের চেয়ে আগে ইংরেজি নববর্ষকে আলিঙ্গন করেছে। টোকিও, সিউল ও পিয়ংইয়াংয়ের অনেক মানুষ আলোকসজ্জা ও আতশবাজির মাধ্যমে বর্ষবরণ করেছে। প্রতিবছর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেও বর্ণিল আলোক-উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়।