নৌকা-কাঁচির লড়াইয়ে শাহরিয়ারের সম্বল উন্নয়ন

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
নৌকা-কাঁচির লড়াইয়ে শাহরিয়ারের সম্বল উন্নয়ন

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই হবে শক্তিশালী দুই প্রার্থীর মধ্যে। দুজনই আওয়ামী পরিবারের। একজন গত তিন সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক এমপি প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রাহেনুল হক রায়হান। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী। তার প্রতীক কাঁচি। দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে দুই নেতার পক্ষ নিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে সম্বল করে নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটের মাঠ গরম করছেন। তার বিশ^াসÑ এলাকাবাসী উন্নয়ন দেখে নৌকাকেই বেছে নেবে। তিনি ও তার

নেতাকর্মীরা দফায় দফায় দুই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। অপরদিকে রায়হান এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ভোট চাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি গত ১৫ বছরে দলীয় নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগও করছেন। তার পক্ষের নেতাকর্মীরাও মাঠে সরব আছেন।

নৌকার সমর্থকদের দাবি, চারঘাট-বাঘার রাজনৈতিক ইতিহাসের সেরা ক্লিন ইমেজের মানুষ শাহরিয়ার আলম। সব শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়ে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে শাহরিয়ার আলমের সব ধরনের রসদ রয়েছে বলে বিশ্বাস তাদের। তারা আরও বলেন, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই অবহেলিত জনপদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নিজেকে মেলে ধরেন শাহরিয়ার আলম। তার কর্মদক্ষতা ও সততায় মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্যই তিন তিনবার তিনি বিপুল ভোটে এমপি হয়েছেন। দুই দুইবার সফলভাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

অপরদিকে নাম না প্রকাশ করে রায়হান সমর্থকরা বলছেন, গত তিনটি নির্বাচনে এ আসনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন রায়হান। কিন্তু মনোনয়ন পান শাহরিয়ার আলম। তিনি নির্বাচনে জিতে এলাকার বাইরে থাকার কারণে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে জামায়াত-বিএনপি নির্ভর আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ শাহরিয়ার আলমকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিগত পনেরো বছরে এ আসনের সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। যে কারণে জনগণ বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা রাহেনুল হক রায়হানের পক্ষ নিয়ে কাঁচি মার্কায় ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে তাকে বিজয়ী করবে। এবারের নির্বাচনেও তিনি মনোনয়নবঞ্চিত হন। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে দলের কোনো বাধা নেই। তার তিনি ভোটে লড়ছেন।

এ আসনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা হলেন- জাসদের জুলফিকার মান্নান জামী (মশাল), এনপিপির মহসিন আলী (আম), জাতীয় পার্টির শামসুদ্দিন রিন্টু (লাঙল) ও বিএনএমের আবদুস সামাদ (নোঙর)।