নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ালেন খাজা!
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী খেলার মাঠে রাজনৈতিক কোনো বার্তা দেওয়া যাবে না। তবে উসমান খাজা মানবতার বার্তাটাই দিতে চেয়েছিলেন। এখানেও নিষেধাজ্ঞা আসে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানিয়ে গাজায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা ঠিকই দেখালেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে এদিন খেলতে নামলেন কালো আর্মব্যান্ড পরে।
খাজা অবশ্য এই পদক্ষেপের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। যদিও তিনি জানিয়েছিলেন, সমর্থন জানাবেন, তার অংশ হচ্ছে এই আর্মব্যান্ড। তবে দলের বাকি সদস্যরা এটা করেননি।
এর আগে ফিলিস্তনিকে সমর্থন করে আইসিসি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন খাজা। গাজাবাসীদের জন্য তিনি জুতায় স্লোগান লিখে তা পরে খেলতে নামতে পারেননি। তার আগেই তাকে নিষেধ করা হয়। তবে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লেও তিনি যে পিছিয়ে আসবেন না সেটা জানিয়েছিলেন। আর সেটাই করলেন এবার ম্যাচের সময়। অভিনব কায়দায় তিনি গাজার ঘটনার নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন:
আর্জেন্টিনার হ্যাটট্রিকে উড়ে গেছে ব্রাজিল
এদিন ওপেন করেন উসমান খোয়াজা ও ডেভিড ওয়ার্নার। টেস্ট সিরিজের আগে দুই তারকাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। তবে তারা বিতর্কে সরিয়ে ভালো শুরু করেন। সেখানেই উসমান খোয়াজার দিকে বাড়তি নজর পড়ে। দেখা যায় তিনি হাতে কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছেন। সেই জুতা পরে নেমেছিলেন, তবে স্লোগানের জায়গায় টেপ মারা ছিল।
প্রথম টেস্টে ওপেন করতে নেমে খাজা ৯৮ বলে ৪১ রান করেন। ব্যাটিংয়ে তিনি ছন্দে ছিলেন। শাহিন আফ্রিদির বলে সরফরাজের হাতে ক্যাচ তুলে তিনি আউট হন। ওয়ার্নারের সঙ্গে তিনি ১২৬ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে ভালো শুরু দেন।
ক্রিকেট মাঠে সাধারণত কোনো ঘটনায় শোক প্রকাশ করতে দলগুলো কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নামে। এক্ষেত্রে কোনো একজন কখনো এটা করেন না। এটা হল দলগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু খাজা এক্ষেত্রে দলের বাইরে হেঁটে একাই সিদ্ধান্ত নিলেন ও কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নামলেন। যদিও তিনি কেন এটা করেছেন তা জানা যায়নি। তিনি নিজেও মুখ খোলেননি। তবে এটা যে গাজায় আক্রান্ত ও নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি করেছেন তা বুঝতে কারও সমস্যা হয়নি।
এর আগে খাজা টেস্টের আগে অনুশীলনে একটি জুতা পরে নামেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘সব প্রাণ সমান’ ও ‘স্বাধীনতা মানবাধিকার’। তবে এতে রাজনীতির গন্ধ পেয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে তাকে সেই জুতাটা পরে খেলতে নিষেধ করে। তিনি সেই নিয়ম মানলেও লড়াই চালানোর ঘোষণা করেন। তিনি যদি সেই নিয়ম না মানতেন সেক্ষেত্রে তাকে শাস্তির মুখে পড়তে হত। শাস্তিতে নিষিদ্ধ পর্যন্ত হতে পারতেন তিনি।
নিয়মে আছে কোনো ক্রিকেটার তার কিটে খেলার লোগো ও স্পনসরের লোগো ছাড়া আর কোনো লোগো ব্যবহার করতে পারবে না। এই নিয়মে অনেক ক্রিকেটার ফিলিস্তিনির পতাকা ব্যবহার করতে পারেননি তাদের ব্যাটে।