২৬ রানের মধ্যে নেই ৫ উইকেট, ধ্বংসস্তূপের মাঝেও জাকিরের হাফ সেঞ্চুরি
আগের দিনের ২ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে এক পর্যায়ে একই উইকেটে ৭১ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরই শুরু হয় মড়ক। ৭১ রানের মাথায় মুমিনুল হকের পতন দিয়ে শুরু। এরপর একে একে মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন দীপু, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে হারিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাংলাদেশের ইনিংস। এই ৫ উইকেটের পতন হয় মাত্র ২৬ রানের মধ্যে। দলীয় ১১২ রানের মাথায় ফেরেন নাইম হাসানও। তবে এর মাঝেও একপ্রান্ত আগলে রেখে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার জাকির হাসান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৭২ রানের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮০ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের লিড এখন ১০৬ রানের। ৫০ রানে অপরাজিত আছেন জাকির হাসান।
চতুর্থ দিনের সকালে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭১ রানের রানের মাথায় মুমিনুলকে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন এজাজ প্যাটেল। ৮২ রানের মাথায় ড্যারিয়েল মিচেলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। দলের সঙ্গে আর ৬ রান যোগ হতেই ফেরেন মাত্রই দলে ডাক পাওয়া শাহাদাত হোসেন দীপু। এরপর ৯৭ রানের মাথায় একই ওভারে মিরাজ ও সোহানকে ফেরান এজাজ। ১১২ রানের মাথায় নাইম ফেরেন স্যান্টনারের বলে।
এর আগে টেস্টের প্রথমদিনে কিউই স্পিনারদের তোপে ১৭২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ৩টি করে উইকেট পান মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। এজাজ প্যাটেল নেন ২ উইকেট।
প্রথমদিনেই জবাব দিতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের তোপে ৫৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে কিউইরা। মিরাজ ৩টি ও তাইজুল নেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি।
তৃতীয় দিনও নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু করা যায়নি। দুপুর ১২টায় আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে এদিন খেলা শুরু করে নিউজিল্যান্ড। দারুণ শুরু করেন অপরাজিত দুই ব্যাটার ড্যারিয়েল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। ৯৫ রানে মিচেল ও ৯৭ রানে স্যান্টনার ফিরলেও লেজের ব্যাটারদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ফিলিপস। একের পর এক চার-ছক্কায় খেলতে থাকেন দুর্ধ্বর্ষ ইনিংস। শেষদিকে শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের আঘাতে গুটিয়ে যায় কিউই ইনিংস। তবে ততক্ষণে ১৮০ রান স্কোরকার্ডে জমিয়ে ফেলে তারা। লিড হয় ৮ রানের। ৭২ বলে ৯টি চার ও ৪ ছক্কায় ৮৭ রান আসে ফিলিপসের ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ও নাইম হাসান।
নিউজিল্যান্ডের সামনে বড় লক্ষ্যের স্বপ্ন নিয়ে খেলতে নেমে শুরুতেই হোচট খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই মাহমুদুল হাসান জয়কে ফিরিয়ে দেন এজাজ প্যাটেল। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ খেলছিলেন ওপেনার জাকির হাসান ও অধিনায়ক শান্ত। তবে দলীয় ৭ম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৩৮ রানের মাথায় টিম সাউদির বলে মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (১৫)*। ওই ওভার শেষ করলেও আলোকস্বল্পতায় এরপর আর খেলা চালাননি মাঠের আম্পায়াররা। অপরাজিত দুই ব্যাটার হিসেবে মাঠ ছাড়েন জাকির হাসান ও মুমিনুল হক।