বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই নিয়ে পড়াশোনা
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে সবকিছুতে জড়িয়ে যাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে চাকরির বাজারে টিকে থাকাটা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে। নব্বইয়ের দশকে চালু হওয়ার পর থেকে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দৃশ্যপটে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন দেখা গেছে। চ্যালেঞ্জিং ভবিষ্যৎ, চাকরির বাজারের চাহিদা এবং তরুণদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মৌল চাহিদা পূরণে সক্ষম করে তুলতে বেশ আকর্ষণীয় প্রোগ্রাম অফার করার চেষ্টা করছে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা, উচ্চশিক্ষা, বহুমুখী ক্যারিয়ার, স্বতন্ত্রভাবে কাজের সুযোগ আর স্টার্ট-আপে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের কারণে তরুণদের কাছে আকর্ষণীয় বিষয় ‘কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা ‘সিএসই’।
ভর্তির সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন
যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাচ্ছেন, সেখানকার সিএসই ডিগ্রি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (ওঊই) কর্তৃক স্বীকৃত কিনা। একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গণিত জানা বা বোঝা অপরিহার্য। তাই কমপক্ষে ৪টি সেমিস্টারে গণিত সম্পর্কিত কোর্স আছে কিনা, জেনে নিন। আপনাকে কমপক্ষে ২-৩টি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখানোর কথা। নিশ্চিত হয়ে নিন তারা শেখায় কিনা।
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ল্যাব এই ফিল্ডে আপনার সৃজনশীলতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ। নিশ্চিত হয়ে নিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে কিনা। পুরো ব্যাচেলর ডিগ্রিতে সব মিলিয়ে কমপক্ষে ১৫০ ক্রেডিট থাকা উচিত, সেটা সিলেবাস দেখেই নিশ্চিত হয়ে নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট ডিসপ্লের মতো ক্রিয়েটিভ অনুষ্ঠানে অংশ নেয় কিনা? সেখানে তাদের সাফল্য কেমন?
আরও পড়ুন:
চাকরি আছে
কাজের সুযোগ
বলা যায় শুধু দেশে নয়, বিশ্বজুড়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটে যাচ্ছে। এই সেক্টরের প্রবৃদ্ধির হার ৩০০ শতাংশ। কী ধরনের কাজ আছে, বলার চেয়ে ভালো হয় কী ধরনের কাজ নেই! সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গেম ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সাইবার সিকুরিটি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ই-কমার্স ইত্যাদি। এর জন্য প্রস্তুতি হিসেবে সবার প্রথমে প্রয়োজন শেখার আগ্রহ এবং এডপ করার ক্ষমতা।
বাংলাদেশের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়াররা বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছেন। তা ছাড়া অপারেটিং সিস্টেম, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মোবাইল কম্পিউটিং, নিউরাল কম্পিউটার বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। আপনার জ্ঞান-দক্ষতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নতুন কাজের পরিধি
বাড়তে থাকবে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেটা ম্যানেজমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, আইটি অফিসার, ওয়েব ডেভেলপার, প্রোগ্রামার ও নেটওয়ার্কিংসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজের পরিসর। এ ছাড়া আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করেও
আরও পড়ুন:
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা
উপার্জন করতে পারেন। দেশে আউটসোর্সিংয়ের বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে।
যোগ্যতা
বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এসব যোগ্যতা কিছুটা কমবেশি হতে পারে। তবে আপনার মধ্যে গণিতে মোটামুটি দক্ষতা, পরিশ্রমী মানসিকতা, প্রোগ্রামিং করার প্যাশন, উদ্ভাবনী চিন্তা, ধৈর্য ধারণ ক্ষমতা আছে কিনা বুঝে পড়তে আসার পরামর্শ দেন এ সেক্টরের অভিজ্ঞজনরা।
আরও পড়ুন:
স্বপ্নপূরণের ৩ অস্ত্র