চাল-আটার বাজার চড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
শেয়ার :
চাল-আটার বাজার চড়া
ছবি : প্রতীকী ছবি

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে তরিতরকারির দাম কমেছে। কমেছে মাছ-মাংসসহ মুরগি ও ডিমের দামও। তবে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, আলু ও পেঁয়াজ। আটা-ময়দা ও চিনিতেও খরচের চাপ বেড়েছে।

গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর কদমতলী, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৮০ টাকার ঘর থেকে নেমে অধিকাংশ সবজির কেজি এখন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশের ঘরে। বাজারে এখন প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। গোল বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সপ্তাহ দুয়েক আগেও ছিল ৮০ টাকার বেশি। লম্বা বেগুনের দাম কমে এখন ৩০ টাকায় নেমেছে। শীতের সবজি শালগমের কেজি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

ফুলকপি ও বাঁধাকপি আগের মতোই ৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকার আশপাশে। লাউয়ের দামও কিছুটা কমে পঞ্চাশের ঘরে। তবে পাকা টমেটোর দাম এখনো চড়া; প্রতিকেজি ১১০ থেকে ১২০ টাকা। কমেছে শাকের দামও। লাউ শাকের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও লাল শাক, পালং শাক ও পুইশাকের দাম কমে এসেছে।

নতুন আলুর দাম শতকের ঘর থেকে নেমে ৮০ টাকা হয়েছে। কিন্তু পুরনো আলু এখনো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল এক কেজি আলুর দাম ছিল ৫০ টাকা। বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম সেভাবে কমেনি। দেশি পেঁয়াজের কেজি এখনো ১১০ এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় দেশের বাজারে আটা ও ময়দার দাম বেড়েছে। খোলা আটার কেজি এখন ৫০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। অন্যদিকে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

চিনির বাজারেও অস্থিরতা। খোলা চিনির কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নেই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

চলতি বছরের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। কিন্তু বাজারে চালের দাম কমেনি। মাসখানেক আগে খুচরা পর্যায়ে যতখানি বেড়েছিল, এখনো সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে। মোটা চালের কেজি এখন ৫২ থেকে ৫৪ টাকা।

গরুর মাংসের দাম এলাকাভেদে কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ৭৮০ টাকা কেজির মাংস কোথাও ৬৫০, কোথাও ৬৩০ আবার কোথাও ৬০০ টাকাতেও মিলছে। কমেছে খাসির মাংসের দামও। ব্রয়লার মুরগির দামও কমে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের দাম আরেকটু কমে প্রতি ডজন যথাক্রমে ১১০ ও ১২০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মাছের দামেও। চাষের মাছের দাম কমেছে। পাঙাশের কেজি এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। চিংড়ির দামও কিছুটা কমেছে।