জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। এর আগে শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ভুটানের নেতার গাড়িবহর জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করে।
এ সময় রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক),পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, সেনাবাহিনীর নয় পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। কিছুটা সময় নীরবে দাঁড়িয়ে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
পরে স্মৃতিসৌধের দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর এবং বকুল গাছের চারা রোপণ করেন তিনি। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট অবস্থান শেষে ঢাকার উদ্দেশে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় পৌঁছান শেরিং তোবগে। ড্রুক এয়ারের একটি বিমান সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এরপর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতা সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী তোবগে শুক্রবারের ভূমিকম্পে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী তোবগেকে তোপধ্বনি এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
দুপরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বিকেল ৩টা নাগাদ তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে তিনি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী তোবগের সম্মানে একটি নৈশভোজেরও আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।
আমাদের সময়/এএস