স্ট্রংরুম থেকে উদ্ধার আরও ৩৬ অস্ত্র
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো হাউসের স্ট্রংরুমের ভল্টে পাওয়া গেছে আরও ৩৬টি অস্ত্র। তিনটি কার্টন থেকে উদ্ধার করা হয় এসব অস্ত্র। গত বুধবার স্ট্রংরুমের আমদানি পণ্যের তালিকা করতে গিয়ে অস্ত্রের চালানটি পাওয়া যায়। গত ১৮ অক্টোবর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে কার্গো হাউসে। এরপর কার্গো হাউসের স্ট্রংরুমের পণ্যের তালিকা তৈরি করতে ১৭ নভেম্বর কাস্টমস ও বিমানের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ২০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিমান কর্তৃপক্ষ। কমিটি স্ট্রংরুম তল্লাশি করে এসব অস্ত্রের সন্ধান পায়।অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৬টি পিস্তল, ২৬টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০টি শটগান, ২০টি শটগান ম্যাগাজিন, ২০টি প্লাস্টিক পাম্প অ্যাসেম্বলি ও ৮০টি ব্যারেল ক্যাপ। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে সার্বিক অবস্থা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কার্গো হাউসে অগ্নিকাণ্ডের পর স্ট্রংরুম থেকে মালামাল হারানোর অভিযোগ ওঠে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, আগুনে বহু মালামাল পুড়ে গেছে। বাস্তবে দেখা যায়, ভল্টে আগুন লাগেনি; ভল্ট ছিল ভাঙা এবং সেখান থেকে অস্ত্র গায়েবের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জরুরি অফিস আদেশ দিয়ে অবশিষ্ট মালামালের অবস্থান নিশ্চিত করা ও স্ট্রংরুমে রাখা সামগ্রী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জরুরি ইনভেন্ট্রির মাধ্যমে যাচাইয়ের নির্দেশ দেয়। তদন্ত কমিটি স্ট্রংরুমে লুকানো অবস্থায় তিনটি কার্টন পায়। সেই কার্টনে ওই অস্ত্রগুলো মেলে। পরে এসব অস্ত্র পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইনভেন্ট্রি প্রক্রিয়া শেষে বোঝা যাবে কী পরিমাণ অস্ত্রসহ অন্য মালামাল খোয়া গেছে। এর আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের পর কার্গো হাউসের স্ট্রং রুমের ভাঙা ভল্ট থেকে পাওয়া যায় ৮০টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক ম্যাগাজিন ও কার্তুজ। এসব আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ অন্য মালামাল পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অগ্নিকাণ্ডের পর গত ২৮ অক্টোবর সকালে স্ট্রংরুমের ভল্টের তালা ভেঙে অস্ত্রসহ মূল্যবান পণ্য চুরির ঘটনা সামনে আসে। পরে বিমানবন্দর থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা অকুস্থলে উপস্থিত হয়ে পুরো এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করে। ২৯ অক্টোবর ভাঙা স্ট্রংরুমের সামনে পাঁচজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে মালামালের তালিকা করা হয়। বিমানবন্দর থানা পুলিশের জব্দ তালিকায় দেখা যায়, ভাঙা স্ট্রংরুম থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় ৬৭টি অত্যাধুনিক পিস্তল, ১২টি শটগান, একটি অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তলের ১৩৮টি খালি ম্যাগাজিন, ৯ মিমি ব্ল্যাংক কার্ট্রজি ৯৯১ পিস এবং শটগান ও রাইফেলের খালি ম্যাগাজিন। প্রায় ৩৮টি অস্ত্র খোয়া গেছে বলে তখন এই অস্ত্রের আমদানিকারক অভিযোগ করেন। অবশেষে গত বুধবার সেই ৩৬টি অস্ত্র স্ট্রংরুম থেকে উদ্ধার করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।