পোশাকশিল্পের টিকে থাকার জন্য মূল্য সংযোজন জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক
২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:১৮
শেয়ার :
পোশাকশিল্পের টিকে থাকার জন্য মূল্য সংযোজন জরুরি

স্বাস্থ্য, অটোমোটিভ ও নির্মাণসহ নানা খাতে টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের চাহিদা বাড়ায় উন্নত টেক্সটাইল ও টেক্সট প্রসেস প্রযুক্তি বড় সুযোগ তৈরি করছে। টেকটেক্সটিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্মাতারা এসব নতুন প্রযুক্তি ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার পাশাপাশি শিল্পের উদ্ভাবনধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন। এ নিয়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুটি প্রদর্শনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি হোটেলে এসব তথ্য জানায় বিশ্বব্যাপী টেক্সটাইল বাণিজ্য প্রদর্শনী আয়োজক মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট। আগামী ২১-২৪ এপ্রিল ২০২৬ তারিখে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত হবে টেকটেক্সটিল এবং টেক্সপ্রসেস প্রদর্শনী। এ দুটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্ভাবন এবং মূল্য সংযোজন বাড়াতে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়।

ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিতব্য টেকটেক্সটিল ও টেক্সপ্রসেস-এ বিশ্বের শীর্ষ বিশেষজ্ঞরা আবারও একত্রিত হবেন। একই ছাদের নিচে প্রদর্শিত হবে প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল, ফাংশনাল অ্যাপারেল ফ্যাব্রিক, নন-ওভেনস এবং আধুনিক পোশাক উৎপাদন যন্ত্রপাতির সবচেয়ে বিস্তৃত পরিসর।

বিশ্ববাজারে গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের নেতৃত্বের কারণে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভিজিটর দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বলে জানান মেসে ফ্রাঙ্কফুর্ট এসপি বাংলাদেশের হেড অব অপারেশনস রুমানা আফরোজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের টিকে থাকার জন্য এখন মূল্য সংযোজন অত্যন্ত জরুরি। স্বাস্থ্যসেবা, অটোমোটিভ, নির্মাণ ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন শিল্পে টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এখন শুধু কৃষি ও নির্মাণের মতো ঐতিহ্যগত খাতেই নয়, বরং স্বাস্থ্যসেবা, ক্রীড়া এবং অটোমোটিভের মতো নতুন খাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এবং নন-উভেনস বহুবিধ প্রয়োগে ব্যবহার করা যায়।

ভেইট জিএমবিএইচের কান্ট্রি ম্যানেজার (সেলস) মো. আরিফুর রহমান বলেন, প্রতি বছর আমরা টেক্সপ্রসেসে অংশ নিয়ে আমাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী প্রসেসিং সরঞ্জাম প্রদর্শন করি। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো এমন মেশিনারি প্রদান করা, যা কম শক্তি ব্যবহার করে বেশি দক্ষতা নিশ্চিত করে। ফলে উৎপাদন ব্যয় কমে এবং শক্তি সাশ্রয় হয়।

এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বিজিএমইএর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে প্রযুক্তিগত ও ভ্যালু-অ্যাডেড টেক্সটাইলে বিশেষায়িত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। ২০২২ এবং ২০২৪ সালে সফল অংশগ্রহণের ধারাবাহিকতায় ২০২৬ সালে আরও বড় প্যাভিলিয়ন প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া, প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১০০ জনেরও বেশি ট্রেড ভিজিটর টেকটেক্সটিল ও টেক্সপ্রসেসে অংশ নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রদর্শক ও ক্রেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। টেকটেক্সটিলের ১৪টি কান্ট্রি প্যাভিলিয়নÑ যার মধ্যে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালি, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড রয়েছে এবং টেক্সপ্রসেসের চীন ও তাইওয়ানের দুটি প্যাভিলিয়ন বাংলাদেশি ভিজিটরদের আধুনিক টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি এবং ইনোভেশন সম্পর্কে জানার সুযোগ মেলে। এসব প্রদর্শনী নেটওয়ার্কিং, জ্ঞানবিনিময় এবং সহযোগিতা বাড়িয়ে বাংলাদেশের নির্মাতাদের উৎপাদন আধুনিকায়ন, মান উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সহায়তা করে।