১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ‘আরাকান আর্মি’
সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে ফেরার পথে কক্সবাজারের টেকনাফের দুটি ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’র (এএ) সদস্যরা।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ পৌরসভাস্থল কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের মাছ শিকার শেষে ফেরার পথ সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি থেকে দুই ট্রলারসহ ১৬ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
নিয়ে যাওয়া একটি ট্রলারের মালিক মো. আমিন বলেন, ‘ট্রলারটি গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশে খায়ুক খালি ঘাট থেকে সাগরে যাই। সেখান থেকে মাছ শিকার শেষে আসার পথে মাছ ভর্তি ট্রলারসহ ১০ জেলেকে আরাকান আর্মি ধাওয়া করে, এবং তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়। এই যদি অবস্থা হয় আমরা কিভাবে সংসার চালাবো? এর আগেও ট্রলারসহ অনেক মাঝিমল্লাকে আরকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে। আমি প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি আপনারা একটু জেলেদের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান।’
আরেক ট্রলার মালিক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার ট্রলার নিয়ে গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) আব্দুর করিম মাঝিসহ ৬ জেলে সাগরে মাছ শিকারে যান। মাছ শিকার শেষে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) টেকনাফ ঘাটে ফেরার পথে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপের কাছাকাছি পৌঁছালে ট্রলারটি ধাওয়া করে ‘আরাকান আর্মি’। পরে ট্রলারসহ জেলেদের ধরে নিয়ে যায় তারা।’
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘ট্রলারসহ কিছু জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।’
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১১ মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমারে নাফ নদসহ সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩৫০ জেলেকে অপহরণ করে আরাকান আর্মি। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সহায়তায় এদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে কয়েক দফায় ফেরত আনা হয়। এখনো ১৫০ জেলে আরাকান আর্মির হাতে রয়েছে। যার ফলে অনেক জেলে সাগরে মাছ শিকারে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
আমাদের সময়/আরডি