মিশরে প্রথম ডি-৮ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বৈঠক: অভিজ্ঞতা বিনিময়ে বাংলাদেশ অগ্রণী
মিশরে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী প্রথম Developing-8 (D-8) স্বাস্থ্য মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। দেশটির নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোতে সোমবার (১৭ নভেম্বর) এ উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. মো. আবু জাফর।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে কারিগরি ও নীতিনির্ধারণী আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন।
সম্মেলনে প্রফেসর জাফর তার বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে অর্জিত অগ্রগতি, ভবিষ্যৎ কৌশল, ডিজিটাল হেলথ উদ্যোগ, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা প্রস্তুতি, এবং আঞ্চলিক স্বাস্থ্য সহযোগিতা বৃদ্ধির অগ্রাধিকার তুলে ধরেন। তিনি D-8 সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময়, মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তি শেয়ারিং এবং যৌথ জনস্বাস্থ্য কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
এই প্রতিবেদককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রফেসর জাফর জানান, সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সার্বিক অবস্থা, সক্ষমতা, সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা তুলে ধরে। পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কীভাবে D-8 দেশগুলোর স্বাস্থ্য খাত আরও উন্নত করা যায়—তা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে চারটি প্রধান ক্ষেত্র—
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
১. স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অবকাঠামো ও রোগ প্রতিরোধ
২. মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য
৩. ফার্মাসিউটিক্যাল ও ভ্যাকসিন উন্নয়ন
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
৪. স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন
তিনি আরও জানান, D-8 দেশগুলোর স্বাস্থ্য উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে। আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর ও ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলনের সমাপ্তি হবে।
স্বাস্থ্যসেবায় নতুন সমন্বিত উদ্যোগের সম্ভাবনা
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর স্বাস্থ্য মন্ত্রী, জ্যেষ্ঠ নীতিনির্ধারক ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আলোচনায় উঠে এসেছে—সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (UHC) বাস্তবায়ন, ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, মহামারি ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি, এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সমন্বিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন কৌশল।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলন আঞ্চলিক স্বাস্থ্য সহযোগিতা আরও সুসংহত করবে। তারা আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশসহ D-8 দেশগুলো পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে সক্ষম হবে।