সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস আজ
খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী ও সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস আজ। ২০০৭ সালের আজকের দিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পাড়ি জমান না-ফেরার দেশে।
‘তোমাকেই বলে দেব’ শিল্পীর জন্ম ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর, হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছিলেন সঞ্জীব।
বাপ্পা মজুমদারকে নিয়ে ‘দলছুট’ ব্যান্ডের এই প্রতিষ্ঠাতা ও সদস্য ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন সক্রিয়। ‘তোমার বাড়ির রঙের মেলায়’, ‘গাড়ি চলে না’সহ তার গাওয়া অনেক গান আজও শ্রোতাপ্রিয়।
দলছুটের প্রথম অ্যালবাম ‘আহ্’ (১৯৯৭) বাংলা ব্যান্ডসংগীতের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। সঞ্জীবের কণ্ঠ সরল, কিন্তু গভীর আন্তরিকতায় ভরা।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
শ্রোতারা বিশ্বাস করত, এই গান তাদেরই কথা বলছে, এই গান তাদের জীবনের অনুভূতিকে স্পর্শ করছে।
পরবর্তী অ্যালবামগুলো—‘হৃদয়পুর (২০০০)’, ‘আকাশ চুরি (২০০২)’, ‘জোছনা বিহার (২০০৭)’—দলছুটকে দেশব্যাপী জনপ্রিয় করে তোলে। সঞ্জীবের লেখা গানে শহরের একাকিত্ব, স্মৃতি, হারানো সময়, প্রেম—এই সব অনুভূতি শ্রোতাদের এক গভীর নস্টালজিয়ার ভেতরে নিয়ে যায়।
২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় সঞ্জীবের একক অ্যালবাম ‘স্বপ্নবাজি’, যা ছিল ব্যক্তিগত ও এক গভীর অভিব্যক্তি।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে দলছুটের ‘জোছনা বিহার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। কিন্তু অ্যালবাম প্রকাশের মাত্র কয়েক সপ্তাহ পর, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর, হঠাৎ তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হন।
দু'দিন পর, ১৯ নভেম্বর, তিনি চলে যান মাত্র ৪২ বছর বয়সে। শেষ ইচ্ছা হিসেবে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে দেহ দান করেন, যা গবেষণা এবং সমাজের প্রতি তার দায়িত্বের নিখুঁত উদাহরণ।
আমাদের সময়/কেইউ
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’