বিদেশি পিস্তল, ৬০ রাউন্ড গুলি ও মাদকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:১৯
শেয়ার :
বিদেশি পিস্তল, ৬০ রাউন্ড গুলি ও মাদকসহ ৩ জন গ্রেপ্তার

রাজধানীতে পুরান ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর রেললাইনের পশ্চিম পাশে ভাঙারি বাড়ি এলাকায় অভিযানে তিনটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গুলি ও মাদকদ্রব্যসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবি বলছে, মাদকের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে অস্ত্রের ব্যবহার করতেন কারবারিরা। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা করায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম টিটু (৩৬), মো. আব্দুর রাজ্জাক শানু (৩৮) ও মো. মামুন (৩৭)।

এ সময় তাদের হেফাজত থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগাজিন, ৬০ রাউন্ড গুলি, ৮০০ পিস ইয়াবা এবং সাড়ে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আমীর খসরু এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজনই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তারা মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এসব অস্ত্র ব্যবহার করতেন। তারা মাদকের স্পটকে আড়ত হিসেবে বলতেন। তাদের আস্তানা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পাইকারী হারে মাদক বিক্রি করতেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু মাদকের কারবারের বাইরেও এসব অস্ত্র কি কি ক্ষেত্রে অস্ত্র ব্যবহার করা হতো সে বিষয়ে তদন্ত করে সব বিষয় বের করা হবে।’

অস্ত্র ও মাদকের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে চাইলে ডিসি আমীর খসরু বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০২৪’র ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট হয়েছে। আমরা মিলিয়ে দেখবো এইগুলো পুলিশের অস্ত্র কি না। এছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তাদের বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সঙ্গে এমন কিছু নেটওয়ার্ক ও লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এই ব্যবসার ক্ষেত্রে, কেউ না করতে পারে না। কেউ ব্যবসা থেকে সরে যেতে চাইলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, যে তাদের সঙ্গে কেন থাকবে না। তাদের এই ব্যবসা পরিচালনের ক্ষেত্রে তাদেরকে সহযোগিতা না করায় নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীও আমরা পেয়েছি। আগে তাদের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাদের থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।

সার্বিক বিষয়গুলো আমাদের কাছে যখন আসে তখন আমরা এগুলো মামলার তদন্ত করব। অস্ত্রগুলো ভাড়ার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কি-না। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা তদন্তে বের করে আনার চেষ্টা করব।’

আন্ডারওর্য়াল্ডে অস্থিরতা বাড়ছে। এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যে কিলিংগুলো হয়েছে সেই সবগুলোই কিন্তু ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সফলভাবে প্রত্যেকটা ঘটনা উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ পুরান ঢাকায় যে মার্ডারটা হয়েছে সেখানেও গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ২৬ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনাও কিন্তু আমরা উদঘাটন করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে কোনো ঘটনা ঘটলে তার নেপথ্যে কারণ উদঘাটন করে আনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দুটি করে অস্ত্র ও মাদক মামলা আছে। এছাড়া এই ঘটনায় কদমতলী থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে।’

গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি।