শীতে গরম পানি পান করছেন, এটি উপকারী না ক্ষতিকর?
হিমেল হাওয়ায় ইতোমধ্যে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে শীত বয়ে যাচ্ছে। শীতকালে সাধারণত ঠাণ্ডা থেকে এড়িয়ে চলতে অনেক উপায় অবলম্বন করি আমরা। গায়ে গরম পোশাক থাকে, খাবারও থাকে গরম। কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় কিংবা পিপাসা পেলে পানি পান করতে হয়। এখানেই বিপত্তি।
এ সময় ঠাণ্ডার ভয়ে অনেকেই হালকা গরম পানি পান করেন। আর এই গরম পানি পান ও ঠাণ্ডা পানি পান করা নিয়েই অনেক সময় তর্ক-বিতর্ক দেখা যায়। একদল ঠাণ্ডা পানির পক্ষে যুক্তি দেখান, আরেক দল সমর্থন করেন গরম পানি পান করাকে।
পেট পরিষ্কারের কাজে গরম পানি : প্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে মলের গতিবিধি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ জন্য নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানি পান করার কথা বলা হয়। এছাড়া যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও হালকা গরম পানি অনেক উপকারী।
সর্দি-কাশি প্রতিরোধে গরম পানি : ঋতু পরিবর্তনের কারণে শীতের শুরুতে একাধিক ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে উঠে। জীবাণুর কারণে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট ছোট নানা অসুখ হয়ে থাকে। এসব অসুখ থেকে ভালো রাখতে ওষুধের কাজ করে হালকা গরম পানি। গরম পানি পানের কারণে বুকে ও মাথায় জমে থাকা কফ বেরিয়ে আসে।
লেবু মিশানো যাবে কি : অনেকেই ওজন কমানোর জন্য হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে থাকেন। এই ধারণার কোনো সত্যতা নেই। বরং প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খাওয়ার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু হালকা গরম পানি পান করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
চোখের রক্তবর্ণ ধারণের কারণ ও প্রতিকার
দিনে কতটুকু গরম পানি পান করবেন : শীতে অনেকেই দিনের পুরোটা সময় হালকা গরম পানি পান করেন। এটা ঠিক নয়। সারাদিন গরম পানি পানে পেট ও অন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ জন্য ১ গ্লাসের বেশি গরম পানি নয়। বাকি সময় অল্প অল্প করে নর্মাল পানি পান করুন।
আমাদের সময়/ টিটিএ
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন