শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
সময়টা মন্দ না। হালকা শীত শীত পড়ছে। চনমনে ঠাণ্ডা বাতাস, কাঁচা রোদ চোখের উপর আরামদায়ক প্রশান্তি দেয়। বাজারে হরেক রকম সবজি পাওয়া যায় তাই সুষম খাদ্যের অভাব নেই। সময়টা গর্ভধারণের জন্যে বেশ সুখকর। তবু এই সময় কিছুটা সতর্ক থাকতে হয়। শীতের সময় ঠাণ্ডার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যেই করতে হয় পরিশ্রম। কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে শীতে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।
গর্ভকালীন সময় মায়েদের সবসময় থাকতে হয় একটু আলাদা যত্নে, একটু সাবধানে। সবসময় খেয়াল রাখতে হয় যাতে করে মা বা সন্তানের কোনো রকমের সমস্যা না হয় এবং মা যাতে সুস্থ থাকতে পারেন। আর ঋতু বদলের এই সময়ে শীতকালে গর্ভবতী মায়েদের তো অতিরিক্ত যত্ন নিতেই হয়। তা ছাড়া এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের দরকার হয় বাড়তি সুরক্ষার। নইলে অল্পতেই সর্দি কাশির কবলে পড়ে গর্ভের সন্তানটিও অসুস্থ হয়ে পড়ে। জন্ম থেকেই ঠাণ্ডা জনিত নানা সমস্যায় ভুগতে থাকে।
এ ছাড়াও শীতকালে স্বাভাবিকভাবেই সবার ভেতর অলসতা চলে আসে যার ফলে সাধারণ যেসব যত্নআত্তি গর্ভাবস্থায় নিতে হয় তাতেও ছেদ পড়ে। আজকে তাই এমন কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যাতে এ শীতে গর্ভবতী মা নিরাপদ থাকতে পারেন এবং শীতকালকে উপভোগ করতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠুন
দেরি করে ঘুম থেকে না জেগে সকাল সকাল জেগে ওঠার অভ্যাস করুন। অনেকে শীত কাটাতে দেরি করে জাগেন। তেমন কিছু না করে দ্রুত জেগে উঠলে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের সুযোগ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
শীতের সময় ত্বকের আর্দ্রতা বেশি বেশি ক্ষয়ে যাওয়ায় ত্বক শুষ্ক থাকে, ঠোঁট ফেটে যায়। তাই বেশি বেশি পানি পান করুন। সারাদিন যে শুধু পানি খাবেন তা কিন্তু না। আপনি ডাবের পানি বা ফলের রসও খান। এতে করে শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিবেনা। তবে চা, কফির বা মিষ্টি থেকে একেবারেই দূরে থাকবেন।
তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
খাদ্যতালিকায় সুষম খাদ্যের পরিমাণ বাড়ান। তেলযুক্ত খাবার বা ভাজাপোড়া একেবারেই খাবেন না। বরং শাক-সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান। দিনে বিভিন্ন ভাগে অল্প অল্প করে সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আরও পড়ুন:
মা হলেন লাক্স সুন্দরী আলভী
ত্বকের সমস্যায় মনোযোগ দিন
শীতের সময় নানাবিধ ত্বকের সমস্যা দেখা দেয়। সেগুলো থেকে দূরে থাকার জন্যে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিন। আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী পরিচর্যা করুন।
ব্যায়াম করুন
অলসভাবে বসে থাকলে আপনার শিশু এবং আপনার দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং মন থাকবে চনমনে।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন