পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি কারাগারে
বগুড়ায় ফ্লাট বিক্রির কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে প্রতারণার মামলায় তিনি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির হয়ে জামিন চান। শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একই মামলায় তার স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বগুড়া শহরের নিশিন্দারা শাহপাড়ার জাহিদুর রহমান তোফা মিলনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলাটি দায়ের করেন।
বগুড়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামিদুর আলম মিলন ও তার স্ত্রী বগুড়া শহরে হাউজিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। জাহিদুর রহমান তোফা তাদের কাছ থেকে ফ্লাট কেনার পরেও তাকে ফ্লাট বুঝিয়ে না দিয়ে প্রতারণা করেছেন। এ কারণে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
২০২৩ সালে অসুস্থতার কথা বলে ছুটিতে থাকলেও তিনি বগুড়া-১ আসনে তার স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং পরে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল হক মিলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
আমাদের সময়/আরডি