আজ মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দিনটি পালন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে বৈপ্লবিক রাজনীতির অন্যতম পথিকৃৎ, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার আদায়ের অগ্রদূত ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা ভাসানী ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরে তাকে টাঙ্গাইলের সন্তোষেই দাফন করা হয়। মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণীতে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্ম নিলেও মওলানা ভাসানী জীবনের বড় অংশটিই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা এই নেতা দীর্ঘদিন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতিও ছিলেন মজলুম জননেতা।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সন্তোষে তার পরিবার, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মুরিদান-ভক্ত, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি করছে। এর মধ্যে রয়েছে দিনব্যাপী পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোনাজাত, মিলাদ মাহফিল, দোয়া, ওরস, কোরআন খতম ও এতিম-দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা আয়োজন। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদেও পৃথক মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে গতকাল মওলানা ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘প্রতিবাদের ভাষায় নৈতিকতা : মওলানা ভাসানী ও সমসাময়িক বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী ও লেখক নাসির আলী মামুন। মওলানা ভাসানী গবেষক সৈয়দ ইরফানুল বারীর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তার কন্যা সৈয়দা উসতুআনা হান্নানা। সেমিনারের স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবু জুবাইর, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদেকীনসহ অন্যান্য শিক্ষক-গবেষক। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।