রানী ডান্স কালেকটিভের প্রযোজনায় ‘আরো দাও প্রাণ’
রানী ডান্স কালেকটিভের প্রযোজনায় ক্লাব নটোরডেমিয়ান্স বাংলাদেশ লিমিটেডে অনুষ্ঠিত হলো কত্থক পরিবেশনা ‘আরো দাও প্রাণ’। ১৫ই নভেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানের পরিচালনা ও কোরিওগ্রাফি করেছেন রানী ডান্স কালেকটিভের প্রতিষ্ঠাতা অন্বেষা বিশ্বাস। নিজের সদ্য প্রয়াত বাবাকে উৎসর্গ করেছেন তিনি অনুষ্ঠানটি।
রানী ডান্স কালেকটিভ তাদের যাত্রা শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে। প্রতিষ্ঠাতা অন্বেষা বিশ্বাসের উদ্দেশ্য ছিল নতুন প্রজন্মের কাছে শাস্ত্রীয় নাচকে সহজভাবে তুলে ধরা। অন্বেষা নিজে, একুশে পদক প্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরুগণ, শিবলী মোহাম্মদ ও শামীম আরা নীপার ছাত্রী। তিনি কত্থকের লক্ষ্ণৌ ঘরানায় দীক্ষা প্রাপ্ত।
কথা থেকে কত্থক। অযোধের নওয়াব ওয়াজিদ আলী শাহ এর পৃষ্ঠপোষকতায়, পণ্ডিত বিন্দাদিন মহারাজ আর পণ্ডিত কালকা প্রসাদের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় লক্ষ্ণৌ ঘরানা। মোঘলদের বদৌলতে কত্থক নাচ প্রতিষ্ঠা পায় দরবারি নাচ হিসেবে।
তাদের পর আচ্ছান মহারাজ, লাচ্ছু মহারাজ, শম্ভু মহারাজ, এবং তাদের উত্তরসূরি পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত বির্জু মহারাজ কত্থককে আরো সম্বৃদ্ধ করে তোলেন। অন্বেষার গুরু শিবলী মোহাম্মদ পণ্ডিত বির্জু মহারাজের কাছেই দীক্ষা নেন।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
অন্বেষা শুধু শিশু বা কিশোর নয়, বয়স নির্বিশারে সকলকে আহ্বান জানান শুদ্ধ নৃত্য চর্চার ও উপভোগ করার জন্য।
সেই ধারাতেই, নাচের জগতে নবীনদের উদ্দীপনা দেওয়া এবং নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধ নৃত্য চর্চায় উদ্ভুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে ‘আরো দাও প্রাণ’ এর প্রযোজনা। এই পরিবেশনায় অংশ নিয়েছেন ১৬ জন প্রাপ্ত বয়স্ক নবাগত ছাত্রী এবং প্রতিষ্ঠাতা অন্বেষা বিশ্বাস নিজে।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
এই অনুষ্ঠানে কত্থকের মৌলিক কিছু অংশ ডেমনস্ট্রেট করা হয়। তবলার ও হারমোনিয়ামের সাথে সাথে ঘুঙ্গুরের তালে নাচেন পারফর্মারবৃন্দ। অন্বেষা নিজে পরিবেশন করেন তার গুরু শিবলী মোহাম্মদের নৃত্য পরিচালনায় তারানা মালকোষ ও কাজী রকিবুল হক রিপনের নৃত্য পরিচালনায় একটি ঠুমরী। শেষে অন্বেষার পরিচালনায় কত্থকের কিছু কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে শেষ হয় এই প্রাণবন্ত প্রযোজনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সাজ সিদ্দিকী ও ক্লাব নটোরডেমিয়ান্সের প্রধান পরিচালক মো: রেফায়েত উল্লাহ।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
অন্বেষা আশা করেন যেন রানী ডান্স কালেকটিভ এর এই রকম উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে এগিয়ে আসে তরুণরা। তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন রুচিপূর্ন শিল্পকে আরো পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে টিকিয়ে রাখার জন্য এগিয়ে আসতে।
আমাদের সময়/কেইউ