জুনের যুদ্ধের পর ইরানের শক্তি বেড়েছে বহুগুণ
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ‘জুনের আরোপিত যুদ্ধের পর দেশটির প্রতিরক্ষা সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে এবং নতুন করে কোনো সংঘাত শুরু হলে ইরান প্রচণ্ড জবাব দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি রাখে।’
রোববার তেহরানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ইন্টারন্যাশনাল ল’ আন্ডার অ্যাসল্ট: অ্যাগ্রেশন অ্যান্ড ডিফেন্স’-এ এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরাঘচি বলেন, ‘যুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে ইরান কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, দুটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে-একটি শক্তি ও আগ্রাসনের মাধ্যমে, আরেকটি সংলাপ ও কূটনীতির মাধ্যমে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার আরোপিত সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধ প্রসঙ্গে আরাগচি জানান, এটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানের প্রতিরক্ষামূলক প্রতিক্রিয়া, যেখানে আরও কিছু দেশ ভূমিকা রেখেছিল।
তিনি বলেন, ‘এই যুদ্ধে তাদের কোনো লক্ষ্যই অর্জিত হয়নি। শুরুতে তারা ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ দাবি করেছিল। কিন্তু ১২তম দিনে এসে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তিনি জানান, ১৩ জুনের পর থেকে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধকালে ইসরায়েলি বিমান ইরানের আকাশসীমায় সক্রিয় থাকলেও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রও ইসরায়েল-অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একই শক্তি ও নির্ভুলতায় আঘাত হানে।
আরাগচির দাবি, সংঘাতের শেষ দিকে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্ভুলতা ও শক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে ইসরায়েল অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আমাদের সময়/এআই