ভয়াবহ উষ্ণায়নের পথে বিশ্ব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৫
শেয়ার :
ভয়াবহ উষ্ণায়নের পথে বিশ্ব

জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রেকর্ড পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে বিভিন্ন দেশের দুর্বল প্রতিশ্রুতির কারণে বিশ্ব এখনও এই শতাব্দীর শেষে ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির বিপর্যয়কর পথে রয়েছে। সম্প্রতি দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্র্যাকারের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ব্রাজিলে চলমান কপ-৩০ জলবায়ু আলোচনায় সরকারগুলো নতুন যে নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা বা জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানের রূপরেখা পেশ করেছে, তা বিপজ্জনক বৈশ্বিক উষ্ণতা এড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়।

বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই হারে উষ্ণায়ন চলতে থাকলে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা সহজেই লঙ্ঘিত হবে, যা চরম আবহাওয়া ও মারাত্মক বিপর্যয়ের এক নতুন যুগের সূচনা করবে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণায়নের অর্থ হবে ‘বৈশ্বিক বিপর্যয়’, যার ফলে আটলান্টিক মহাসাগর উপচে উঠবে, প্রবাল প্রাচীরের বিলুপ্তি ঘটবে, বরফস্তরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হবে ও আমাজন বনের সাভানায় রূপান্তরিত হওয়ার মতো বড় ধরনের ‘টিপিং পয়েন্ট’ শুরু হতে পারে।

অন্যদিকে গ্লোবাল কার্বন প্রজেক্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বছর জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নির্গমন প্রায় ১% বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও নবায়নযোগ্য শক্তির দ্রুত প্রসারের কারণে নিঃসরণ বৃদ্ধির হার আগের দশকের তুলনায় কমে এসেছে, তবুও তা এখনও বৈশ্বিক শক্তির চাহিদা বৃদ্ধিকে অতিক্রম করতে পারেনি।

বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে দ্রুত সরে আসতে হবে ও নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর দ্বিগুণ মনোযোগ দিতে হবে। বর্তমানে ৩৫টি দেশ- যা বিশ্বের মোট জিডিপির এক-চতুর্থাংশÑ ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি সত্ত্বেও নির্গমন হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে কার্যকর জলবায়ু নীতি কাজ করে।