‘ডাবল সেঞ্চুরি হলে ভালো হতো’
দারুণ প্রত্যাবর্তন মাহমুদুল হাসান জয়ের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিলেট টেস্টে শতকে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল ক্যারিয়ারে প্রথমবার ডাবলের স্বাদ নেওয়ার। এজন্য দরকার ছিল ৩১ রান। গতকাল টেস্টের তৃতীয় দিনে ব্যক্তিগত ১৬৯ রানে ইনিংস শুরু করেছিলেন মাহমুদুল। তবে এদিন নিজের ইনিংস আর বড় করতে পারেননি তিনি। তৃতীয় দিনে সকালের সেশনে দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন মাহমুদুল। ম্যাকার্থির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। ২৮৬ বলে ১৭১ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন মাহমুদুল। তাঁর ইনিংসে ছিল ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। কাছে গিয়েও ডাবল সেঞ্চুরি করা হলো না তাঁর। অতৃপ্তি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। গতকাল সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মাহমুদুল জয়। ডাবল সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ায় নিজেও কিছুটা হতাশার আগুনে পুড়ছেন তিনি। মাহমুদুল বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই একটু হতাশ। কারণ আমার জীবনের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হতে পারত যদি আমি শেষ পর্যন্ত ক্যারি করতে পারতাম। আমি বলব, একটু হতাশ যে শেষ পর্যন্ত পারিনি।’
মাহমুদুল এর আগে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন চলতি বছরের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে। মাঝে শ্রীলংকা সফরের দলে তিনি ছিলেন না। আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে তিনি আবার দলে ফিরেছেন। তার ৩৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭১ রান সর্বোচ্চ। আগেরটি ছিল ১৩৭। সব মিলিয়ে এটি তাঁর দ্বিতীয় টেস্ট শতক। ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ পাশে রেখে এই ইনিংস থেকে ইতিবাচক দিকও খুঁজে নিচ্ছেন মাহমুদুল। ফেরার ম্যাচে এমন ইনিংস খেলতে পেরে খুশি তিনি। ২৫ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন, ‘সব মিলিয়ে বলব আমি খুশি। কারণ বেশ কয়েক দিন পর আমি দলে এসেছি এবং জাতীয় দলের হয়ে একটা বড় ইনিংস খেলতে পেরেছি। এখন বলব আমি খুশি। কিন্তু আগে যেটা বললাম যদি ডাবল সেঞ্চুরি হতো আরও একটু ভালো হতো। একটু হতাশ ওই দিক থেকে।’ আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে এনসিএলে খেলেছেন মাহমুদুল। চট্টগ্রাম বিভাগের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১২৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেছিলেন। এর আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও দারুণ ব্যাট করেছেন। চট্টগ্রামের হয়ে ৬৩ বলে ১১০ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন। এ ছাড়া ফিফটিও আছে তাঁর। মাহমুদুল জানান, এনসিএলের পারফরম্যান্স আয়ারল্যান্ড সিরিজে তাকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আসলে এনসিএল টি-টোয়েন্টির সেঞ্চুরি থেকে আমি নিজেকে আরও বুস্টআপ করতে পেরেছি। কারণ ওখানে খুব ভালো পারফর্ম হয়েছে। এরপর এনসিএল চার দিনের ম্যাচেও ভালো পারফর্ম ছিল।
আরও পড়ুন:
স্পিনে ভরসা রাচিনের
সুতরাং আমি চেষ্টা করেছি ওখানে যেমন ইনিংসটা ক্যারি করতে পেরেছি, এখানে এসেও যেন একই কাজটা করি। ভিন্ন কিছু করব না, শুধু এনসিএলে যেভাবে খেলে এসেছি ওভাবে ক্যারি করব।’
আরও পড়ুন:
সূর্যর সাফল্যের মন্ত্র
মাহমুদুল, শান্তর সেঞ্চুরি এবং সাদমান, মুমিনুল ও লিটনের ফিফটিতে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। এতে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ৩০১ রানের। টেস্টে প্রথম ইনিংসে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিড। ২০১৮ সালে মিরপুরে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৩৯৭ রানের লিড পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় দিনশেষে তাদের স্কোর ৮৬/৫। ইনিংস হার এড়াতে আরও ২১৫ রান করতে হবে সফরকারীদের। টেস্টের যা গতিবিধি তাতে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা। আজ চতুর্থ দিনের সকালেই বাদবাকি কাজটা সেরে ফেলার লক্ষ্যের কথাও জানান মাহমুদুল। তিনি বলেন, ‘আজকে (গতকাল) খুব ভালোভাবে খেলাটা শেষ হয়েছে। কালকে (আজ) একদম সকাল সকাল ম্যাচশেষ করে ফেলার আশা।’
আরও পড়ুন:
বিপাকে আলভেস