গোপালগঞ্জে গণপূর্ত ভবনের সামনে পেট্রল বোমা, পিকআপে আগুন
গোপালগঞ্জ শহরের গণপূর্ত ভবনের সামনে রাখা একটি পিকআপে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসময় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। একই রাতে জেলার বিভিন্ন সড়কে গাছ কেটে অবরোধ সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১২ নভেম্বর) গভীর রাতে এসব ঘটনা ঘটে।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মচারী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘রাত সাড়ে ৪টার দিকে নৈশ প্রহরীর চিৎকারে ঘুম ভাঙে। বাসা থেকে বের হয়ে দেখি ভবনের সামনে রাখা পিকআপে আগুন জ্বলছে। গাড়ির চারপাশে ও সড়কজুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন এসে পানি ও বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।’
তিনি জানান, দুর্বৃত্তরা পেপসির বোতলে ভরা পেট্রোল ছুড়ে মেরেছে। একটি বোতল অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যার ভেতরে এখনো পেট্রল রয়েছে। আশেপাশে ভাঙা কাঁচ ও জ্বালানির গন্ধ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে গভীর রাতে ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক ও গোপালগঞ্জ–কোটালীপাড়া সড়কের কয়েকটি স্থানে গাছ কেটে সড়কে ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। রাত ৩টা থেকে ৪টার দিকে গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ৪টার দিকে খবর পাই গণপূর্ত ভবনের সামনে একটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমরা গিয়ে দেখি স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এছাড়া সড়কে গাছ ফেলে অবরোধ তৈরি করা হয়েছিল, যা আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলেছি।’
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে টহল দিচ্ছে এবং শহরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সকালে শহরের বিভিন্ন বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিনের তুলনায় যাত্রী সংখ্যা অনেক কম।
গোপালগঞ্জের পুলিশ লাইন মোড়ের টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ও ইমাদ পরিবহনের কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক সময়ে প্রতি ১০ মিনিট অন্তর বাস ছাড়লেও সকাল থেকে মাত্র ৩টি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ছেড়ে গেছে। দূরপাল্লার বাসও সীমিত আকারে চলাচল করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছেন, শহরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।
আমাদের সময়/আরআর