বায়রার ফখরুলকে ‎ছেড়ে দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

আদালত প্রতিবেদক
১২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:০৭
শেয়ার :
বায়রার ফখরুলকে ‎ছেড়ে দেওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব

‎মানবপাচার ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে ছেড়ে দেওয়ায় কারণ জানতে চেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) তলব করেছেন আদালত।

‎বুধবার (১২ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।

‎আদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে ছেড়ে দেওয়ায় কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

‎‎ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত ‎সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বাদীর একটি আবেদনের শুনানির পর বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন।

‎‎আদালতে বাদীপক্ষে আব্দুল খালেক মিলন, সুমন ভুইয়া ও জিল্লাল হোসেন প্রমুখ আইনজীবী শুনানি করেন।

‎‎এর আগে গত সোমবার রাতে বিদেশ থেকে ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বনানী থানা থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‎‎বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল সারওয়ার জানান, ফখরুলকে একজন আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী তিনি দুই দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইবেন।

‎‎মামলা সম্পর্কে জানা যায়, বায়রার সাবেক নেতা ফখরুল ইসলাম এবং তার সহযোগী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত ৪ নভেম্বর বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। আরইউএল ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার মো. রুবেল হোসেন এই মামলাটি করেন। যেখানে প্রায় তিন কোটি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

‎‎এজহারে বাদী রুবেল হোসেন উল্লেখ করেন, ফখরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন তাকে মালয়েশিয়ার নিউ ভিশন গ্রিন ল্যান্ড এসএনডি, চাই চাং ফুড ইন্ডাস্ট্রি এসএনডিসহ ভালো ভালো কোম্পানিতে শ্রমিক পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাস দেন। মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ মে ৫৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় প্রেরণের জন্য কর্মীপ্রতি পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নগদ মোট তিন কোটি দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা তিনি আসামিদের হাতে তুলে দেন। এরপর আসামিরা মোট ২৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠালেও চুক্তি মোতাবেক কোম্পানিতে কাজ না দিয়ে তাদের অন্য জায়গায় নিয়ে আটকে রাখে, ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন করে এবং পুনরায় টাকা দাবি করে। বাদীর চাপের মুখে শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও আসামিরা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারেনি।

‎‎এজাহারে আরও বলা হয়, বর্তমানে আসামিদের কাছে বাদীর পাঠানো ২৮ জন কর্মীর সমস্যা সমাধান বা তাদের দেশে ফেরত আনার খরচ বাবদ এবং অন্যদের জন্য জমা দেওয়া আরও ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আসামিরা সেই টাকা ফেরত না দিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগেও প্রতারণা ও মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছিল এবং তিনি আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

আমাদের সময়/জেএইচ