আবু সাঈদ সেদিন দুবার গুলি খেয়েছিলেন
কোনোরকম সতর্ক বার্তা ছাড়াই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করা শুরু করে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাদের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ মাথার পিছন দিকে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্ত পড়া শুরু হয়। কথাগুলো জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ইমরান আহমেদের।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ এই মামলায় প্রসিকিউশনের ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। জেরা শেষে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য উপস্থাপনের জন্য আজ দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় জবানবন্দির রংপুর কারমাইকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ বলেন, ‘গত বছরের ১৬ জুলাই আমরা একটি মিছিল নিয়ে মডার্ন মোড় অভিমুখে যাত্রা করি। ‘আনুমানিক দুপুর ১টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট (বর্তমানে আবু সাঈদ গেট)-এর কাছাকাছি পৌঁছাই। পৌঁছানোর পরে আনুমানিক ২টার দিকে প্রথমে পুলিশ আমাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে কোনোরকম সতর্কবার্তা ছাড়াই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং অতর্কিতভাবে লাঠিচার্জ করা শুরু করে।
আরও পড়ুন:
ছায়ানটের বার্ষিক লোকসংগীত আসর
এ সময় অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাদের মধ্যে আবু সাঈদ মাথার পিছন দিকে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং রক্ত পড়া শুরু হয়।’ ওই দিন আবু সাঈদকে দুইবার গুলি করা হয় পরে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যু গোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
বরিশালে ৯ ছাগলের সাজা মওকুফ