কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২২
শেয়ার :
কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় লিটন আহম্মদ ওরফে লিটন মিয়াকে (২৮) মৃত্যদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিটন মিয়া সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মো. খলিল মিয়ার ছেলে। ঘটনার সময় তিনি ওই কিশোরীর গ্রামে বসবাস করতেন।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় লিটন মিয়া আদালতে হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. শামসুর রহমান।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৯ এপ্রিল দোয়ারাবাজার উপজেলার একটি ইউনিয়নের ওই কিশোরীর নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার আগের দিন কিশোরীর মা ছোট মেয়েকে নিয়ে তাঁর বাবার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরদিন সন্ধ্যায় তার মা চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শ্রীপুর বাজারের পল্লী চিকিৎসকের ফার্মেসিতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তার ছেলে দৌড়ে গিয়ে জানায়, তার মেয়ে ফাঁস লাগানোর মতো ঝুলে রয়েছে। তখন ওই কিশোরীর বাবাসহ অন্যরা বাড়িতে গিয়ে দেখেন মেয়েটি রান্না ঘরের দরজার তীরের সঙ্গে হাঁটু ভাজ করা অবস্থায় ফাঁস দেওয়ার মতো ঝুলে রয়েছে। তখন তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। জিব্বা দাঁত দিয়ে চেপে ধরা এবং পরনের সেলোয়ার খোলা ছিল।

এ ঘটনার পরদিন ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িত থাকা সন্দেহে একই এলাকায় বসবাস করা লিটন মিয়াকে আটক করে। পরে লিটন মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর পুলিশ তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ স্বাক্ষ্যপ্রমাণ ও বিচারকার্য শেষে আসামি লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। 

আমাদের সময়/আরডি