জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই: জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক
১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৬
শেয়ার :
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডা. আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ২০২৬ সালে নির্বাচন দেখতে হলে আগে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লাগবে। যারা জুলাই বিপ্লব মানবেন না, তাদের জন্য ২৬ সালে কোনো নির্বাচন নেই। আমাদের দাবি কম, কিন্তু খুব সুস্পষ্ট। জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে। আর জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি দিতে হলে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতেই হবে। এই আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠান হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ‘

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও উক্ত আদেশের ওপর গণভোট আয়োজন’সহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতসহ আন্দোলনরত ৮ দলের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।  

জামায়াতের আমির বলেন, ‘দেশের জনগণ নির্বাচনের আগে গণভোট চায়। গণভোটের বিষয়ে সব দল একমত। তাহলে তারিখ নিয়ে এই বায়নাবাজি কেন। দলগুলো একমত হয়ে যখন জুলাই সনদে সাক্ষর করেছে, তখন গণভোট আগে হওয়াই যুক্তিযুক্ত। এর ভিত্তিতে আগামী নির্বাচন হলে কোনো সন্দেহ-সংশয় থাকবে না।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াতসহ আট দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় নির্বাচন চায়। এটা নিয়ে কেউ যাতে ধূম্রজাল সৃষ্টির পাঁয়তারা না করে।’

তিনি বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণীত হয়েছে। গণতন্ত্রের কথা হলো সংখ্যাগরিষ্ঠরা যা বলবে, বাকিদের তাই মেনে নিতে হবে। কিন্তু কেউ কেউ সেটি মেনে নিতে রাজি নন। জুলাই সনদেই যদি কেউ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখায়, জাতীয় নির্বাচনের প্রতি তারা শ্রদ্ধা কীভাবে দেখাবে?’

জামায়াত আমির বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের ভাষা বুঝতে হবে। (আগামী নির্বাচনে) কোনো দলের নয়, জনতার বিজয় হবে। জনতা কী চায়, কান পেতে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যারা এটি বুঝতে ব্যর্থ হবেন, নিজের পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’

আট দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘তৈরি হোন। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের দাবি আদায় না হবে, আমাদের আন্দোলন দুর্বার গতিতে চলতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি বলেন, সমাবেশের পর আট দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে মিলিত হবেন। দ্রুতই পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য আট দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বলেন জামায়াতের আমির।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব আহমাদ আবদুল কাইয়ুম ও সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ।

সমাবেশে বক্তব্য দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, খেলাফত মজলিসের আমির আবদুল বাসিত আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির সরওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন প্রমুখ।

আমাদের সময়/জেআই