পদোন্নতি স্থগিত, তদবিরের চাপ জনপ্রশাসনে
জনপ্রশাসনে বিতর্ক থামছেই না। মাঠ প্রশাসন সাজাতে অনভিজ্ঞ ও তদবিরপ্রবণ কর্মকর্তাদের পদায়নের ঘটনা ক্রমেই বেড়েছে। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নতুন নিয়োগের প্রজ্ঞাপন নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এর জেরে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার প্রক্রিয়াও জটিলতার মুখে পড়েছে। ৪ বছরের বেশি সময় ধরে যুগ্ম সচিব পদে থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে নিয়মিত দায়িত্ব পালনে অনীহার ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
জনপ্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পদোন্নতি দিতে না পারার মূল কারণ হচ্ছে অতীত সরকারের সুবিধাভোগীদের তদবির ও চাপ। এসব সামলাতে না পেরে আপাতত পদোন্নতি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা একে কর্মকর্তাদের অদক্ষতার প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।
পদোন্নতির নিয়ম অনুযায়ী কর্মকর্তার অতীত অভিজ্ঞতা, কর্মদক্ষতা ও অন্যান্য মানদণ্ডের ভিত্তিতে সুপরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) সিদ্ধান্ত নেয়। ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা পদোন্নতির জন্য যোগ্য হলেও এ ব্যাচের কিছু কর্মকর্তা বিগত সরকারের অন্ধ আনুগত্য ও বিতর্কিত দায়িত্বের কারণে পদোন্নতির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
জনপ্রশাসনের এপিডি উইং, যা প্রেষণ, বদলি ও পদোন্নতির দায়িত্বে নিয়োজিত। গত ৯ অক্টোবর থেকে সেখানে অতিরিক্ত সচিব পদে ফাঁকা। একইভাবে বিভাগীয় কমিশনারের
পদও শূন্য। এতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও পদায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। একজন অতিরিক্ত সচিব একাধিক অনুবিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। সামনে জাতীয় নির্বাচন। অথচ নানা স্থানে পদ ফাঁকা আবার পদোন্নতি দিতেও সিদ্ধান্তহীনতা। গতকালও আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব মো. দীন ইসলামকে ওএসডি করা হয়েছে অবসরজনিত কারণে।
পদোন্নতি প্রক্রিয়ার দেরির ফলে ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব পদে ৪ বছরেরও বেশি সময় থাকলেও এখনও অতিরিক্ত সচিব হননি। অন্য ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে সাধারণত ২-৪ বছরের মধ্যে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
২০০১ সালের ২ মে ২০ ব্যাচের কর্মকর্তারা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ওই ব্যাচের ২৯৭ কর্মকর্তার কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন আগেই। ৩৮ জন আছেন ওএসডি হয়ে। বিগত ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের বেশিরভাগ অফিসার যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। সে হিসাবে যুগ্ম সচিব পদে তাঁদের পার হয়েছে ৪ বছর।
সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী প্রশাসন অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়ার জন্য গত মার্চ মাসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে। কর্মকর্তাদের চাকরির রেকর্ড, মাঠ পর্যায়ের রিপোর্ট, দুর্নীতি দমন কমিশনের রিপোর্ট, ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাÑ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে। বিগত সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের পিএস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নানা পদে ছিলেন এ ব্যাচের অনেক কর্মকর্তা। বিতর্কিত নির্বাচনে নানা কায়দায় দায়িত্ব পালন এবং পতিত সরকারের প্রতি অন্ধ আনুগত্য দেখানো কর্মকর্তাদের পদোন্নতির তালিকা থেকে বাদ রাখার খবর ছিল। শতাধিক পেশাদার কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দিতে এসএসবির কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী কর্মকর্তারা নানা কৌশলে এ পদোন্নতি আটকে দিতে চাইছে। তাদের চাপে পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে দ্বিধায় আছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, যুগ্ম সচিব হিসেবে ২ বছর সন্তোষজনক চাকরির পর যেখানে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য হয়, সেখানে ৪ বছর পার করেও ২০তম ব্যাচের উপযুক্ত অফিসারদের পদোন্নতি হচ্ছে না। প্রতি বছর পরবর্তী নিয়মিত ব্যাচ থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। সর্বশেষ অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির তারিখ থেকে এরই মধ্যে ১৮ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। অথচ অতিরিক্ত সচিবের স্বল্পতার জন্য অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন অনুবিভাগে পদায়ন করা যাচ্ছে না। একজন অতিরিক্ত সচিব দুই বা ততধিক অনুবিভাগের দায়িত্ব পালন করছেন। একই কারণে অনেক সংস্থা ও করপোরেশনে চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী ও মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশাসনে গতিশীলতা বাড়াতে পদোন্নতির মতো বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তি জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
বিগত এক বছরে দুই শতাধিক অতিরিক্ত সচিব অবসরে গেছেন। আগামী বছরের জুনে আরও ৭০ জন অবসরে যাবেন। অতিরিক্ত সচিবের বর্তমান পদ ৪১৮টি। এর মধ্যে নিয়মিত ও প্রেষণে আছেন ৩৬৫ জন। প্রকল্পে নিয়োজিত রয়েছেন ১৫ জন। আর ১০ শতাংশ রিজার্ভ হিসেবে ৩৮ জন আছেন। কর্মরতদের মধ্যে প্রশাসনিক কারণে ৩৮ জন ওএসডি আছেন।
চলতি বছরের ৯ নভেম্বর পর্যন্ত নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ৩৩০ জন অতিরিক্ত সচিব বর্তমানে কর্মরত। শূন্য পদ রয়েছে ৮৮টি। তবে এ সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারিতে পদের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৮৮তে। তখন শূন্য পদ হবে ১৩০টি। আর আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব করলে কর্মরত পদ থাকবেন মাত্র ২৬০ জন। শূন্য হয়ে যাবে ১৫৮টি পদ। যদিও মন্ত্রণালয় ও বিভাগে অতিরিক্ত সচিবসহ মাঠ প্রশাসনে বিভাগীয় কমিশনার, বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রধানের শূন্য পদে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
দেখা গেছে, আশঙ্কাজনক হারে কমছে অতিরিক্ত সচিবের সংখ্যা। এ পদে ২০২২ সালের জুনে কর্মকর্তা ছিলেন ৫৯৮ জন, ২০২৩ সালে ৫৪৭ ও ২০২৪ সালের জুনে তা ৫৪৬ দাঁড়ায়। একই বছর তথা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে আরও কমে ৫২৮ জনে ঠেকে। এরপর ২০২৫ সালের জুনে ৪৪১ জন, ২০২৫ সালের অক্টোবরে ৩৩০, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে ২৮৮ ও জুনে দাঁড়াবে ২৬০জনে। অথচ বিসিএস অষ্টম ব্যাচ থেকে ১৮তম ব্যাচ পর্যন্ত যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র।
বিসিএস অষ্টম ব্যাচের কর্মকর্তারা ১৯৮৯ সালের ২০ জুন চাকরিতে যোগ দেন। যুগ্ম সচিব পদে তাঁরা পদোন্নতি পেয়েছেন ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই। ৩ বছর ৪ মাস পর ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আর ৯ম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন ২ বছর ৮ মাস পর। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর তাঁরা অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব হন ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল। ৩ বছর ৪ মাস পর ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট পদোন্নতি পান অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। আর ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তারা ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর যুগ্ম সচিব হওয়ার ২ বছর ১১ মাস পর ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তারা দুই ধাপে যুগ্ম সচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পান। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর যুগ্ম সচিব হয়েছিলেন তাঁরা। এ ব্যাচের কিছু অংশ ২ বছর ৯ মাস পর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ও কিছু কর্মকর্তা ৩ বছর ৮ মাস পর ২০২১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পদোন্নতি পান অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব হন ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। ৩ বছর ৬ মাস পর ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল অতিরিক্ত সচিব হন। ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব হন ২০১৯ সালের ১৬ জুন। এর তিন বছর ১১ মাস পর মানে ২০২৩ সালের ১২ মে অতিরিক্ত সচিব হন। ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব হন ২০২০ সালের ৫ জুন। এরপর ৩ বছর ১০ মাস ছিলেন যুগ্ম সচিব পদে। এরপর ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল অতিরিক্ত সচিব পদোন্নতি পান।
বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের ব্যাচের আইডি ৬৬২৯ থেকে ৬৯২৮ পর্যন্ত। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রথমবার ৬৬২৯ থেকে ৬৮৯৯ আইডি পর্যন্ত বিবেচনায় নেওয়া হয়। এর প্রায় ১ বছর পর ব্যাচের বাকি অংশ এবং ইকোনমিক ক্যাডার থেকে প্রশাসনে একীভূতদের পদোন্নতি হয়। নিকট অতীতে কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব পদে আড়াই থেকে পৌনে ৩ বছর কাজ করার পর অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়েছেন। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসে অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্য এসএসবির দুটি সভা হলেও নানা কারণে প্রক্রিয়াটি থেমে যায়। জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব পদে পরিবর্তনের পর এক সভায় বিষয়টি আলোচনা উঠলেও তা আর নিষ্পত্তি হয়নি।
এদিকে গত দুই দিনে দেশের ২৯ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রবিবার ১৪ জেলায় এবং আগের দিন শনিবার রাতে আরও ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। বদলি ও রদবদলের মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদে বড় ধরনের এই রদবদল করা হলো। জাতীয় নির্বাচনে ডিসিরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তবে এ ডিসি পদায়ন নিয়ে বিতর্ক চলছে প্রশাসনজুড়ে। চাকরিতে ঢোকেন ইকোনমিক ক্যাডারেÑ এমন ব্যক্তিও এবার ডিসি। শেখ হাসিনার আমলে ইউএনও হিসেবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিরাও এবার ডিসি। যদিও সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, এসব ব্যক্তিদের বিবেচনা করা হবে না। বর্তমানে জনপ্রশাসনে ২৮তম ব্যাচের ১৯৬ জন কর্মরত রয়েছেন। ২৯তম ব্যাচের রয়েছেন ১৯৮ জন। তাঁদের মধ্য থেকে বেশি জেলা প্রশাসক করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিঞা বলেন, আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরপেক্ষ প্রশাসন সাজাতে দক্ষতার প্রয়োজন। প্রশাসনের সব স্তরে প্রশাসনিক দক্ষতা দরকার। কিন্তু এখন যে প্রশাসন চলছে, তার অনেক কিছুই সঠিকভাবে হচ্ছে বলে মনে করা যাচ্ছে না। পদোন্নতিসহ মাঠ প্রশাসনে বদলি-পদায়নে দূরদর্শিতা, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া তিনটি নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত, একতরফা ও পাতানো। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের নির্বাচন ‘রাতের ভোট’ নামে পরিচিত। ২০২৪ সালের নির্বাচন পরিচিতি পেয়েছে ‘ডামি ভোট’ নামে। তিন নির্বাচনে প্রশাসন ও পুলিশের তৎকালীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করার জোরালো অভিযোগ রয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ওই তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের এবারের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার দাবি জানিয়েছে। কিন্তু এর বাইরে ‘যোগ্য’ লোক খুঁজে পাচ্ছে না প্রশাসন।
ডিসিসহ জনপ্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নে পরামর্শ দিতে গত ৮ জানুয়ারি জনপ্রশাসনবিষয়ক একটি কমিটি গঠন করে সরকার। ছয় সদস্যের কমিটির সভাপতি করা হয় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে। তবে এই কমিটির কোনো কোনো সদস্য পক্ষপাতমূলক আচরণ করেন বলে একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। এরপর গত ২৯ অক্টোবরের তারিখে ‘জনপ্রশাসনবিষয়ক কমিটি’ বাতিল করে দেয় সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার আশ্বাস দিচ্ছে, নির্বাচনকালে পদায়নের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে।