সড়কে টায়ার জ্বালানোর সময় সাবেক ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন

রাজশাহী ব্যুরো
১০ নভেম্বর ২০২৫, ২২:১১
শেয়ার :
সড়কে টায়ার জ্বালানোর সময় সাবেক ছাত্রদল নেতার শরীরে আগুন

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সড়কে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেছেন দলের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার জার্সিতে আগুন ধরে যায়। তবে দৌড়াতে দৌড়াতে তিনি শরীর থেকে দ্রুত জার্সি খুলে ফেলে আত্মরক্ষা করেন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরীর চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির ত্রাণ ও পূর্নবাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন। নাসির হোসেন অস্থিরকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ করছিলেন তার সমর্থকরা। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলামের জার্সিতে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শহিদুল ইসলাম বিএনপির সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন অস্থিরের সমর্থক।

জানতে চাইলে নাসির হোসেন অস্থির বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দিলে আমার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

এদিকে শফিকুল হক মিলনকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে তার মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিকেলে পবা উপজেলার আন্ধারকৌঠা এলাকায় বিক্ষোভ হয়েছে। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম রায়হানের সমর্থকেরা এ বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি সমাবেশও হয়।

এতে বক্তব্য দেন পবার হুজরিপাড়া ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, শফিকুল হক মিলন দলের মনোনয়ন পেলেও এলাকায় থাকেন না। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগর এলাকায়। শহরে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে হয়। তারা এমন প্রার্থী চান না। যিনি এলাকার ভোটার, তারা তাকেই বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চান।

আমাদের সময়/জেএইচ