সদর হাসপাতালে চিকিৎসক নিয়োগসহ পাঁচ দাবিতে ‘জিলাপি বিতরণ’
লক্ষ্মীপুরে ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগসহ ৫ দফা দাবি পূরণে দোয়া মাহফিল ও জিলাপি বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সদর হাসপাতালের সামনে স্বেচ্ছাসেবীদের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
তাদের দাবিগুলো হলো- হাসপাতালের সার্জারি, নাক-কান-গলা, চক্ষু, স্কিন বিভাগসহ ৫টি বিভাগে কোনো চিকিৎসক নেই। চিকিৎসক ও অন্যান্য পদসহ ৫৯টি পদশূন্য রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার যন্ত্রপাতি বেশির ভাগই নষ্ট। এগুলো মেরামত কিংবা ক্রয় করার উদ্যোগ নেই। হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেই। দালাল অপসারণ করার যথাযথ উদ্যোগ নেই। নির্মাণাধীন হাসপাতাল ভবন রাতের বেলা মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
সিসিএস কোঅর্ডিনেটর আবুল হাসান সোহেল হোসেন বলেন, “হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে তেলাপোকায় ভরপুর থাকে, টয়লেটের অবস্থা খুবই খারাপ, রোগী থাকার অনুপোযোগী করে রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জনকে এসব বললে তিনি বলেন ‘আঁই অন কিত্তাম’। লজ্জা থাকলে তিনি এভাবে কথা বলতে পারতেন না।”
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক একেএম তুষার আহমেদ বলেন, ‘২৫০ শয্যার জন্য নির্মাণাধীন ভবন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই ভবনে পতিতাবৃত্তিও চলে বলে অভিযোগ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বন্ধ করতে হবে।’
লব্ধর প্রতিষ্ঠাতা মো. ফারাজ রানা বলেন, ‘যত দালাল আছেন আপনারা ভালো হয়ে যান। তা না হলে আপনাদের ছবি হাসপাতালের দেওয়ালে টানানো হবে। যারা দালালদের পক্ষ নেবেন তাদের ছবিও দেওয়ালে ঝুলিয়ে দেবো। ইমার্জেন্সি বিভাগের ভাইয়েরা আপনারা টাকা নেওয়া বন্ধ করেন। ভুক্তভোগীদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা সহায়তা দিবেন।’
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আবু হাসান শাহীন বলেন, ‘মাহফিল বা জিলাপি বিতরণের বিষয়ে আমার জানা নেই। তাদের দাবিগুলো কি সেটাও জানি না। বিষয়টি পরে দেখবো।’